ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। মিসর ও কাতারের পক্ষ থেকে দেওয়া এই প্রস্তাবে তারা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। তবে ইসরায়েল এখনও এ প্রস্তাবে রাজি হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।
আজ রবিবার (৩০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
হামাসের প্রধান খলিল আল-হায়্যা জানিয়েছেন, দুই দিন আগে মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর তারা তা ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করে গ্রহণ করেছে। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে। খলিল আল-হায়্যা এই আলোচনায় হামাসের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে ইসরায়েল কোনো ক্ষতি করবে না।
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, মিসর ইসরায়েলের কাছ থেকে একটি নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে। এই প্রস্তাবে হামাস প্রতি সপ্তাহে পাঁচজন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।
এর আগে, দীর্ঘ ১৫ মাসের সামরিক অভিযান শেষে আন্তর্জাতিক চাপের ফলে গাজায় গত জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তবে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে মতবিরোধের কারণে ইসরায়েল ফের বিমান হামলা শুরু করেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় ৯২১ জন নিহত এবং ৩০৫৪ জন আহত হয়েছেন। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এসব হামলার ফলে গাজার অধিকাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং এর অবকাঠামোর ৬০ শতাংশ ধ্বংস হয়েছে। এর আগেও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল।
এনএ/