বাণিজ্যযুদ্ধে ‘যন্ত্রণা’ পোহাতে পারেন মার্কিনরাও বলে মন্তব্য করেছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছে কানাডা।
কানাডা, মেক্সিকো ও চীন থেকে আমদানি করা পণ্যে মোটা অংকের শুল্ক আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গেও শুল্ক আরোপ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্প শুল্ক আরোপ করায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে। বড় অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে শুল্ক নিয়ে লড়াইয়ে বিশ্ববাণিজ্য কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এ বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাবে মার্কিনরাও ভুগতে পারেন, এমন সতর্কবার্তা দিলেও ট্রাম্প অবশ্য বলেছেন, আজ সোমবার কানাডা ও মেক্সিকোর নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদারদের অন্যতম চীন, কানাডা ও মেক্সিকো। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি পণ্যের ৪০ শতাংশ গেছে এ তিন দেশ থেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের সব আমদানি পণ্যের প্রায় অর্ধেকই ট্রাম্পের শুল্কারোপের আওতায় পড়বে। এ নিয়ে সংকট কাটাতে দেশটিকে তার নিজস্ব পণ্যের উৎপাদন দ্বিগুণের বেশি করতে হবে। স্বল্প মেয়াদে এটা বাস্তবে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
এদিকে, বেশির ভাগ পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে কানাডা। সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষের আওতায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। দেশটির কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, মুক্তবাণিজ্য চুক্তি ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার অধীন দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করে।
এনএ/