১০/১১/২০২৫, ২৩:১৪ অপরাহ্ণ
25 C
Dhaka
১০/১১/২০২৫, ২৩:১৪ অপরাহ্ণ
বিজ্ঞাপন

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের ইঙ্গিত ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর

বিজ্ঞাপন

গাজায় যুদ্ধ বন্ধে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে নতুন অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই চুক্তি অনুযায়ী দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি হবে। এই সময়ে ১০ জীবিত জিম্মিকে মুক্তি এবং ১৮ মৃত জিম্মির মরদেহ ফেরত দেবে হামাস।

বিপরীতে দখলদার ইসরায়েল ফিলিস্তিনি বন্দিদের তাদের কারাগার থেকে মুক্তি দেবে। এছাড়া যেসব ফিলিস্তিনির মরদেহ তারা আটকে রেখেছে সেগুলোর কিছু ফেরত দেবে।

তবে হামাসের এক কমান্ডার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে শুক্রবার (৩০ মে) জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া এ প্রস্তাব তারা প্রত্যাখ্যান করবেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, প্রস্তাবটিতে যুদ্ধ স্থায়ী বন্ধের সুনির্দিষ্ট কোনো ধারা নেই। এছাড়া গাজা থেকে দখলদার সেনাদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়টিও স্পষ্ট নয়। যুদ্ধবিরতি চলার সময় কীভাবে মানবিক সহায়তা প্রবেশ করবে, কতটা প্রবেশ করবে সেটিও নির্দিষ্ট নয়।

বিবিসির গাজা প্রতিনিধি রুশদি আব্দুলউফ হামাসের এই কমান্ডারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তিনি বর্তমানে কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থান করছেন। হামাসের যে প্রতিনিধি দলটি যুদ্ধবিরতি আলোচনা করছে সেটির অংশ এ কমান্ডার।

সাংবাদিক রুশদি আব্দুলউফ জানিয়েছেন, হামাস কমান্ডার তাকে বলেছেন— প্রথমত : প্রস্তাবে স্পষ্ট করে বলা নেই এই অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিটি একটি বিস্তৃত ও দীর্ঘ যুদ্ধবিরতিতে পরিণত হবে কি না। যেটির মাধ্যমে যুদ্ধ স্থায়ী বন্ধ হবে।

দ্বিতীয়ত : মানবিক সহায়তা কীভাবে প্রবেশ করবে, কোন কোন সহায়তা প্রবেশ করবে সেটি স্পষ্ট নয়।

তৃতীয়ত : সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির সময় ইসরায়েলি সেনারা যেখানে ছিল সেখানে ফিরে যাবে কি না তাও স্পষ্ট নয়।

হামাস জানিয়েছে, এতদিন যেসব শর্ত নিয়ে তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা হয়েছে, নতুন প্রস্তাবে সেগুলোর অনেক কিছুই নেই। যেগুলো নিয়ে পূর্বে আলোচনা হয়েছে সেগুলো প্রস্তাবে রাখা হয়নি।

হামাসের ওই কমান্ডার বিবিসির এই সাংবাদিককে বলেছেন, ইসরায়েল অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে ‘বিনামূল্যে’ তাদের জিম্মিদের ছাড়িয়ে নিতে চাইছে। এই ফাঁদে হামাস পা দেবে না।

এনএ/

দেখুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে কে জিতবে?

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

বিশেষ প্রতিবেদন