২১/০৫/২০২৫, ১৮:২১ অপরাহ্ণ
25 C
Dhaka
২১/০৫/২০২৫, ১৮:২১ অপরাহ্ণ

যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগ করার আহ্বান জেলেনস্কির

সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় চলছে বৈঠক। ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যেই ইউক্রেনে  লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া।

রবিবার, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমা দেশগুলোকে এক বার্তায় বলেন, তারা যেন রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করে যুদ্ধ বন্ধের জন্য। তিনি দাবি করেন, কিয়েভে রবিবার রাতে অন্তত ১৫০টি রাশিয়ার ড্রোন হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে কিছু ড্রোন বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সাতজনকে হত্যা করেছে।

জেলেনস্কি তার সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, নতুন করে রাশিয়ার ওপর চাপ তৈরি করার সময় এসেছে। ইউক্রেনে এভাবে আক্রমণ চালানো তাদের বন্ধ করতে হবে। তাহলেই একমাত্র এই যুদ্ধ শেষ করা সম্ভব।’

এদিকে, সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইউরোপের শান্তি আলোচনা চলছে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে এবং তারা আশাবাদী। বৈঠকে এনার্জি সম্পর্কিত বিষয়ও আলোচনা হয়েছে। তবে, রাশিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলাদা আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

জেলেনস্কি আরও জানান, গত সপ্তাহে ১,৫৮০টি গাইডেড বোমা, ১,১০০টি ড্রোন এবং ১৫টি মিসাইল ইউক্রেনের দিকে ছোড়া হয়েছে, যার মধ্যে এক লাখ ২ হাজার বিদেশি সরঞ্জাম ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা দাবি করেন।

রাশিয়া, তবে, দ্রুত সমাধানসূত্রের আশাবাদী নয়। তাদের মতে, আলোচনা এখনও প্রাথমিক স্তরে রয়েছে এবং অনেক কঠিন দরকষাকষি বাকি আছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের জানান, ২০২২ সালে কৃষ্ণ সাগরের বাণিজ্য চুক্তির পুনর্নবিকরণই আলোচনা’র প্রধান বিষয়, যা কৃষ্ণ সাগরের মাধ্যমে ইউক্রেনের শস্য আফ্রিকা ও ইউরোপে পৌঁছানোর পথ সহজ করেছে।

অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্রুত যুদ্ধ শেষ হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। তার প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ ফক্স নিউজকে জানিয়েছেন, আলোচনার গতির মধ্যে, সংঘর্ষ-বিরতি চুক্তি হতে পারে এবং কৃষ্ণ সাগরে কোনো ধরনের লড়াই না হওয়া নিয়ে আলোচনা করা হবে।

পড়ুন: চীন-যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ করলে উভয়েই হেরে যাবে : চীনা প্রধানমন্ত্রী

দেখুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে কে জিতবে? 

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন