ভারত পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ-বিরতি চলছে, তবে ঠান্ডা হয়নি কূটনৈতিক উত্তাপ। সাম্প্রতিক সংঘাতের পর দুই দেশই পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছে। শান্তির বার্তা, আবার হুঁশিয়ারি—সবই চলছে একসঙ্গে। দুই দেশের ঐতিহাসিক অবিশ্বাসে শান্তি কতটা টিকবে, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সাম্প্রতিক সংঘাতের পর যুদ্ধবিরতি হলেও উত্তেজনা কাটেনি। বরং শুরু হয়েছে পাল্টাপাল্টি অবস্থান আর কূটনৈতিক চাপানউতোর।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার দাবি করেছেন, সাম্প্রতিক সংঘর্ষে ভারতই যুদ্ধবিরতির অনুরোধ করেছিল। দুই দেশের মধ্যে নিরপেক্ষ স্থানে বৈঠকের সিদ্ধান্তও হয়েছে বলে জানান তিনি।
তবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের অবস্থান একদমই স্পষ্ট। তিনি বলেছেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়া বন্ধ না করা পর্যন্ত আলোচনা হবে না। বরং আগের মতোই স্থগিতই থাকবে সিন্ধু পানি চুক্তি।
কাশ্মির ইস্যুতে জয়শঙ্করের বক্তব্য আরও কঠোর—পুরো কাশ্মিরই ভারতের, পাকিস্তান দখল করে রেখেছে কিছু অংশ। তা ফেরত দিলে তবেই আলোচনা সম্ভব।
সাম্প্রতিক সংঘর্ষে পাকিস্তানের বিমান সাফল্য ঘিরে ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তিকে ব্যঙ্গ করেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি মার্কান্ডেয় কাটজু। তাই নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা।
দুই দেশের সামরিক পর্যায়ের আলোচনা শেষে অস্ত্রবিরতির মেয়াদ আরও তিনদিন বাড়িয়ে ১৮ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে অস্ত্রবিরতির স্থায়িত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি।
এনএ/