কোন রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ চায়না বিএনপি। দলটির নেতারা বলছেন, নির্বাচন ও রাজনীতি থেকে দলগুলোকে বিরত রাখা হলে বরং সমস্যা সৃষ্টি হবে। তারা চাচ্ছেন দল নিষিদ্ধ না অপরাধী যারা তারা বিচারের মাধ্যমে শুদ্ধি হয়ে রাজনীতিতে আসুক।
এক এগারোর লগি বৈঠার মাধ্যমে শুরু হয় আওয়ামী লীগ ও তাদের শরীক ১৪দলের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। ঐ দিন তারা ৬ জনকে পিটিয়ে হত্যা করে।
এর পর ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে সাড়ে পনের বছরে আওয়ামীলীগ ও তার শরীকরা দেশে গুম খুন হত্যা বিরোধীদের নীপিড়ন আয়না ঘরে নিযার্তন সহ হেন অপরাধ নাই যা তারা করেনি।
ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য ২০১৪ ও ১৮ সালে একতরফা নির্বাচন, ২০২৪ সালে আসন ভাগাভাগির প্রহসনের নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ। যা নিয়ে আছে বির্তক ।
আরও পড়ুন: আ.লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ চেয়ে করা রিট চালাবেন না হাসনাত-সারজিস
সবশেষ জুলাই কোটা আন্দোলকারীদের উপড় চরম নিযার্তনের পথ বেছে নেয় তারা। দলটির ভাতৃপ্রতিম ছাত্রলীগ আন্দোলন কারী ছাত্রদের ওপড় নির্যাতন চালায়। প্রকাশ্যে গুলি করতেও দেখা যায় তাদের।
৫ আগষ্ট গণঅভ্যুত্থান হাসিনার পতনের পর কথা উঠে তাদের অপরাধ ও অপকর্ম নিয়ে। এরি ধারাবাহিকতায় ২৩ অক্টোবর নানা অপরাধের দায়ে আওয়ামীলীগের ভাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে অন্তর্বতী কালীন সরকার।
এখন সর্বত্র দাবি উঠেছে দেশে যে অপরাধ সংঘটিত করেছে, আওয়ামীলীগ ও তার মিত্ররা,তার দায় দিয়ে দলগুলোকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
তবে এ নিয়ে বিএনপি কি ভাবছে। আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীনাগরিক টিভিকে বলেন,কোন দল নিষিদ্ধের পক্ষে বিএনপি না। এ সিদ্ধান্ত নেবে জনগন।
দলের আরেক এক জেষ্ঠ্যে নেতা বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
গণঅভ্যথ্যানের আন্দোলনে আওয়ামী লীগ এবং তাদের মিত্রদের দ্বারা অনেক হত্যাকান্ড ও নিযার্তন সংঘটিত হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে এসব রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকান্ড নিষিদ্ধের দাবি উঠে।
অনেক নেতা বলছেন, আওয়ামী লীগকেও নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে, কিন্তু আমরা নিষিদ্ধ চাই না, আমরা নিষিদ্ধের রাজনীতি বিশ্বাস করি না। আমরা ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চাই না। আমরা চাই বিএনপি আগামী দিনে নির্বাচনে যাবে, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে, দেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। কারণ দেশের জনগণ স্বৈরাচারী সরকারের আমলে দীর্ঘ ১৭ বছর তাদের নিজেদের ভোট প্রয়োগ করতে পারেনি।