১৩/০৬/২০২৫, ১৩:৩৯ অপরাহ্ণ
35 C
Dhaka
১৩/০৬/২০২৫, ১৩:৩৯ অপরাহ্ণ

যে কারণে সিলেট হারামাইন হাসপাতালে গেলেন নাহিদ ইসলাম

সিলেটে যাওয়ার পথে পায়ে আঘাত পেয়ে আল-হারামাইন পাসপাতালে যাওয়াকে কেন্দ্র করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে নিয়ে নানা গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে। হাসপাতালটির কর্ণধারের সঙ্গে নাহিদের সখ্যতা রয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। 

জানা গেছে, হারামাইন হাসপাতালটি সিলেটের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহতাবুর রহমান নাসেরের। বিগত সরকারের আমলে নাসেরের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগের পতনের পর নাসেরের মালিকানাধীন বাড়ি ‘কাজী ক্যাসেলে’ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের অবস্থানের খবরে সিলেটে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। এসব ঘটনার পর নাহিদ ইসলামের ওই হাসপাতালে যাওয়ার খবরে ছড়িয়ে পড়লে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। অনেকেই এ নিয়ে নেতিবাচক সমালোচনা করছেন।

যদিও হারামাইন হাসপাতালের জি এম পারভেজ আহমদ গণমাধ্যমকে জানান, পরিদর্শন নয়, পায়ে আঘাত পেয়েই হাসপাতালে এসেছিলেন নাহিদ ইসলাম। অর্থোপেডিক্স চিকিৎসক দেখিয়ে তিনি হাসপাতাল ত্যাগ করেন।

এনসিপি সূত্র জানায়, সফরটি একান্ত ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ছিল। তাই এনসিপি নেতাদের জানানো হয়নি। কোনো ডিল থাকলে কেউ স্ত্রী নিয়ে হাসপাতালে যেতো না। রাজনৈতিক বিতর্ক এড়াতেই তিনি আল হারামাইনে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা তরিকুল ইসলাম তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে লিখেন, নাহিদ ইসলাম সস্ত্রীক দুই দিনের পারিবারিক সফরে সিলেট যান। সিলেট যাওয়ার পথে পায়ে গুরুতর ফ্র্যাকচার হওয়ায় আল-হারামাইন হাসপাতালে পায়ের ফ্র্যাকচারের জন্য ইমিডিয়েটলি চিকিৎসা নিতে হয় এবং পায়ে প্লাস্টার করা হয়।

তিনি আরও লিখেছেন, হারামাইন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিষয়টিকে হারামাইন গ্রুপের কর্ণধারের সঙ্গে সখ্যতাসহ নানান গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসব গুজবে কেউ কান দিবেন না। সে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য হাসপাতালে গিয়েছে। সেখানে যদি কেউ দেখা করেও থাকে সেটা নাহিদ ইসলামের কোনো দোষ নয়। যদি নাহিদ ইসলাম কোনো ব্যবসায়ীর সঙ্গে দেখা করতো তাহলে নিশ্চয়ই এভাবে দেখা করতো না এতটুকু আমাদের গত ৮ মাসে নাহিদ ইসলামের পলিটিকাল ম্যাচিউরিটি দেখে বুঝার কথা। নাহিদ ইসলামের সুস্থতার জন্য সবাই দোয়া করবেন।

পড়ুন : নাহিদ ইসলামের সভা শেষে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি, পক্ষে-বিপক্ষে সংবাদ সম্মেলন

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন