18 C
Dhaka
মঙ্গলবার, জানুয়ারি ১৪, ২০২৫

রংপুর বিভাগে শৈত্যপ্রবাহ, পঞ্চগড়ে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে নেমেছে উত্তরের শীতের প্রকোপ। মাঘ আসার আগেই বাঘ কাঁপানো শীতের দাপট দেখাচ্ছে পৌষের শেষ সপ্তাহ। রাতভর হাড়কাঁপানো শীত, সেইসঙ্গে বইছে হিমশীতল বাতাস।

রংপুর বিভাগের আট জেলায় হাড়কাঁপানো শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। তাপমাত্রার পারদ ৭ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। সেই সঙ্গে কনকনে হিমেল বাতাস শীতের তীব্রতাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

এদিকে, প্রচণ্ড শৈত্যপ্রবাহে নিউমোনিয়া, কোল্ড ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দিজ্বরসহ বিভিন্ন রোগবালাই ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তিন দিনে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৫ শিশু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। তাদের মধ্যে ৩ জন সদ্যপ্রসূত শিশু। আক্রান্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছে দেড় শতাধিক শিশু।

আজও কুয়াশা কমার সম্ভাবনা নেই শৈত্যপ্রবাহ চলছে দেশের ৬স্থানে
ছবি: সংগৃহীত

রংপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ শুক্রবার সকাল ৬টায় রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় জেলায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা রংপুর বিভাগে শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন। এর পরেই রয়েছে ঠাকুরগাঁয়ে ৯ দশমিক ৪, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১০ দশমিক ৮, দিনাজপুরে ১০, নীলফামারীর ডিমলায় ১০ দশমিক ৮, লালমনিরহাটে ১০ দশমিক ৮, গাইবান্ধায় ১০ দশমিক ৯, সৈয়দপুরে ১১ দশমিক ১ এবং রংপুরে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তীব্র শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়, তাপমাত্রা নেমেছে ৭ ডিগ্রিতে

হিমালয়সংলগ্ন হওয়ায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কবলে উত্তরে জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া। তবে বিগত কয়েকদিনের তুলনায় তাপমাত্রা কমে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেছে। তবে উত্তরের হিমেল বাতাসে কনকনে ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ১০০ শতাংশ, যা গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

পঞ্চগড়ে তাপমাত্রার পারদ নামল ১০ ডিগ্রির ঘরে

এদিকে উত্তরের হিমেল বাতাসে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে পঞ্চগড় জেলা। সন্ধ্যার পর থেকেই বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সকাল সকাল সূর্যের দেখা মিলছে না। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ।

দেখুন: পৌষের শীতে কাঁপছে দেশ, আসছে শৈত্যপ্রবাহ

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন