পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীদের প্রধান সামাজিক উৎসব বিজু-সাগ্রাই-বৈসুক-বিষু-বিহু সামনে রেখে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে শুরু হয়েছে সাত দিনব্যাপী বিজু মেলা।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গনে মেলার উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল(অব) অনুপ কুমার চাকমা। এরপরে শুরু হয় চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা।
আলোচনা সভায় রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল(অব) অনুপ কুমার চাকমা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, পুলিশ সুপার ড. এসএম ফরহাদ হোসেন।

এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল(অব) অনুপ কুমার চাকমা বলেন, এই উৎসব পাহাড়ের জনগোষ্ঠীর প্রাণের উৎসব। এই উৎসবের মাধ্যমে পুরনো বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে আমাদের সকলের সুখ, শান্তি ও মঙ্গল কামনা করি।
রাঙামাটি জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ বলেন, বিজু উৎসবের মাধ্যমে এদেশে বহু জাতি বহু সংস্কৃতিতে আমরা দেশ ও সারা বিশ্বের কাছের তুলে ধরতে পারবো। আশা করছি সকলের সহযোগিতায় উৎসব মুখর পরিবেশে সকলে এই উৎসব পালন করতে পারবো।
রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার বলেন, এই বিজু মেলার মাধ্যমে আমাদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে জাতির কাছে তুলে ধরা। আমাদের সংস্কৃতি যত উন্নত হবে, তত আমরা এগ্রিয়ে যাবো।
আলোচনা সভা শেষে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, পাংখোয়াসহ অন্যান্য জনগোষ্ঠীর শিল্পীদের নিয়ে ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশ করা হয়। মেলাটি আজ ৩ এপ্রিল থেকে ৯ এগ্রিল পর্যন্ত চলবে। এবারে মেলায় পাহাড়িদের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পোশাক, খাবার ও অলংকার নিয়ে মোট ১৮০ টি স্টল সাজানো হয়েছে।
আগামী ১২ হতে ১৪ এপ্রিল শুরু হবে বিজুর মূল আনুষ্ঠানিকতা। এই তিন দিন ব্যাপী শুরু হতে যাওয়া উৎসবকে ঘিরে তিন পার্বত্য জেলায় পাড়ায়-মহল্লায় উৎসবের আমেজ বইছে।