‘ফুল বিঝুর দিন প্লাস্টিককে না বলুন’ এই প্রতিপাদ্যকে উপজীব্য করে পাহাড়ি জেলা রাঙামাটিতে রানিং ও সাইক্লিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকালে রাঙামাটি শহরে সচেতনতামূলক রানিং ও সাইক্লিং ইভেন্ট সম্পন্ন হলো।
ইন্ডিজেনিয়াস সাইক্লিস্ট কমিউনিটি, রাঙামাটি রানার্স এবং কমব্যাট ফিটনেস জিমের যৌথ উদ্যোগে এদিন সকাল ৬টায় মারী স্টেডিয়াম থেকে রানিং ও সাইক্লিং শুরু হয়। জেলা শহরের ভেদভেদি, আসামবস্তি, তবলছড়ি, বনরূপা হয়ে প্রায় ১৩ কিলোমিটার রানিং ও সাইক্লিং করে ফের স্টেডিয়ামে এসে ইভেন্টটি শেষ হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির কৃতী সন্তান ও দক্ষিণ এশিয়ার সেরা বক্সার সুর কৃষ্ণ চাকমা,
রাঙামাটি মর্নিং গ্রুপের সদস্য সুমেত চাকমা, সাবেক জেলা ক্রীড়া অফিসার এসআইএম ফেরদৌস আলম, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন রাঙামাটির ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা, রানার্স সদস্য রনেল চাকমা, সেতু চাকমা, ইন্ডিজেনাস সাইক্লিস্ট কমিউনিটির সদস্য মার্সেল চাকমাসহ আরও অনেকেই।
ইভেন্ট আহ্বায়ক ও রানার্স এবং ইন্ডিজেনাস সাইক্লিস্ট কমিউনিটির সদস্য এনভিল চাকমা বলেন, ‘আদিকাল থেকে ফুল বিঝুর সময় কলাপাতা বা প্রাকৃতিক বিভিন্ন উপাদান দিয়ে আদিবাসীরা নদী ও ছড়াতে ফুল নিবেদন করে। কিন্তু কয়েকবছর ধরে দেখা যাচ্ছে ফুল বিঝুর সময় অনেকে প্লাস্টিকের প্লেট দিয়ে ফুল ভাসায়। এটা পরিবেশের জন্য অনেক ক্ষতি করে। তাছাড়া প্লাস্টিকের বর্জ্য পরিবেশের জন্য এবং কাপ্তাই হ্রদের জন্য অনেক ক্ষতি করবে। তাই জনসচেতনতার জন্য আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি। ফুল বিঝুর দিন সকালে কেরানী পাহাড় এলাকায় আমাদের প্রায় ২০০ মানুষকে কলা পাতা বিতরণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।’

প্রসঙ্গত, পাহাড়ে শুরু হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান সামাজিক উৎসব বিঝু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, বিহু, চাংক্রান প্রভৃতির আনুষ্ঠানিকতা। চাকমা জনগোষ্ঠীর মানুষ এই উৎসবকে বিঝু হিসেবে উদযাপন করে থেকে। বাংলা পঞ্জিকার বছরের শেষদিন, চৈত্র সংক্রান্তিকে (১৩ এপ্রিল) পালন করা হয় বিঝু উৎসব বা বিঝু দিন হিসেবে। এর আগের দিন ১২ এপ্রিল নদী বা জলে ফুল ভাসানো হয়; এই দিনকে বলা হয় ফুল বিঝু। ফুল বিঝুর দিনে জলে প্লাস্টিকের উপকরণ দিয়ে ফুল না ভাসিয়ে কলা পাতা ব্যবহারের জন্য জনসচেতনতামূলক এই কর্মসূচি।
পড়ুন: পাহাড়ের প্রধান সামাজিক উৎসব উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি
দেখুন: রাঙ্গামাটিতে বিজু বৈসু সাংগ্রাই সংস্কৃতি মেলা চলছে |
ইম/