পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী প্রেস ক্লাবের চা-চক্রের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে অপপ্রচার রটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ উঠেছে, প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে একটি মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই অপপ্রচার ছড়াচ্ছে।
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, গত ৩০ এপ্রিল রাঙ্গাবালী প্রেস ক্লাবে বেসরকারি টেলিভিশনের এক ডেস্ক প্রধানের আগমন উপলক্ষে চা-চক্রের আয়োজন করা হয়।
প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সাংবাদিকদের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা, সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমারৎ হোসেন।
চা-চক্রের আলোচনায় উপকূলীয় এ দ্বীপ উপজেলার সমস্যা-সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। পরে চা-চক্রের আয়োজন শেষে স্থানীয় এক শিল্পী দুইটি গান পরিবেশন করেন। গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
এই বিষয়টিকে নিয়ে অনুষ্ঠানের তিনদিন পর গত ৩ মে ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার শুরু হয়। সেই অপপ্রচারে বলা হয়-‘রাঙ্গাবালীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের গানের আসরে থানার ওসি’। জানা যায়, প্রকৃতপক্ষে সেটি কোন গানের আসর ছিল না। রাঙ্গাবালী প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত একটি চা-চক্র ও মতবিনিময় ছিল। এছাড়াও অপপ্রচারে বলা হয়েছে যে-সেখানে নাকি নৈশভোজেরও আয়োজন করা হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে সেখানে কোন ধরণের নৈশভোজের আয়োজন করা হয়নি।
অপপ্রচারে দুইজন সাংবাদিককে রাজনৈতিক দলের নেতা দাবি করা হয়েছে। অথচ তাদের একজন বনি আমিন, তিনি দৈনিক যুগান্তরের রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রতিনিধি। আরেকজন দৈনিক নয়া দিগন্তের পায়রা বন্দর প্রতিনিধি রবিন আহমেদ।
রাঙ্গাবালী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম সোহেল বলেন, ‘ঢাকা থেকে একজন অতিথি এসেছিলেন। তার উপলক্ষে আমরা একটি চা-চক্র এবং মতবিনিময় সভা করি। সভা শেষে স্থানীয় এক শিল্পী গান পরিবেশন করেন। এটাকে নিয়ে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার ছড়িয়ে রাঙ্গাবালী প্রেস ক্লাব এবং সাংবাদিকদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে। আমরা এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘কামাল মীর নামের যে ছেলেটা গান পরিবেশন করেছেন, তাকে আমরা স্থানীয় সংগীত শিল্পী হিসেবে চিনি-জানি। তার রাজনৈতিক কোন পদ-পদবী ছিল কিনা তা সম্পর্কে আমরা অবগত নই।’
রাঙ্গাবালী প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি আল আমিন হিরণ বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানের ভিডিও আমরাই ধারণ করি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করি। আমাদের শেয়ার করা ভিডিও কেটে এবং এডিট করে প্রেস ক্লাবের নাম কেটে ছবি এবং গানের ভিডিও ছেড়ে অপপ্রচার করা হয়েছে। এ অপপ্রচারের পেছনে এক-দুইজন সংবাদকর্মীও রয়েছে। যা আমাদের জন্য দু:খজনক।’
এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমারৎ হোসেন বলেন, ‘সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের আমন্ত্রণে আমি প্রেস ক্লাবে যাই। একটি মতবিনিময় অনুষ্ঠানের আলোচনায় অংশগ্রহণ করি। মতবিনিময় শেষে চা পান করি এবং তখন একটি গান পরিবেশন করা হয়। গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়। এই অনুষ্ঠানে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কোন লোক ছিল কিনা, আমি তাদের চিনি না। আমার সঙ্গে তাদের পরিচয় নাই।’
পড়ুন: পটুয়াখালীতে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ
দেখুন: এক বছরে দৃশ্যমান হবে পটুয়াখালী ইপিজেডের কাজ
এস