ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন বলেছেন, জলাবদ্ধতার মূল কারণ হলো নালায় পলিথিন, প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন আবর্জনা ফেলা। এর ফলেই মূলত জলাবদ্ধতা হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) গুলশানে ঢাকা উত্তর সিটির নগরভবনে ‘ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএনসিসির উদ্যোগ ও কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মঈন উদ্দিন বলেন, জলাবদ্ধতার মূল কারণ হলো নালায় পলিথিন, প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন আবর্জনা ফেলা। এর ফলে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যায় এবং পানি খাল বা জলাশয়ে নামতে পারে না। তাই নালায় যেকোনো কিছু ফেলা বন্ধ করতে হবে। না হলে নালা পরিষ্কার করার কয়েক মাসের মধ্যেই আগের অবস্থায় ফিরে আসবে।
সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এ বি এম সামসুল আলম বলেন, আমাদের প্রবণতা হচ্ছে খালে যেকোনো কিছু ফেলে দেওয়া। এই প্রবণতা থেকে সরে আসতে হবে। খাল রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। খালে বর্জ্য ফেলা অব্যাহত থাকলে খাল আবারও ময়লা-আবর্জনায় ভরে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ বছর রেকর্ড বৃষ্টিপাতের পরও জলাবদ্ধতার স্থান ও কারণ যথাযথভাবে চিহ্নিত করে কাজ করা এবং গত ছয় মাসে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৯৬ কিলোমিটার খাল খনন ও ২২০ কিলোমিটার নালা পরিষ্কারের ফলে নগরের প্রধান সড়কগুলোতে জলাবদ্ধতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। বিমানবন্দর এলাকায় কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান থাকায় জলাধার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে সে এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসন কঠিন হয়ে পড়েছে। এসব প্রকল্প শেষ না হওয়া পর্যন্ত, বিশেষ করে জলাধার পুনরুদ্ধার না হলে, স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। আপাতত ওই এলাকায় জলাবদ্ধতার অস্থায়ী সমাধান করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন– ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ, প্রধান সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন-উল-হাসান, বিভিন্ন অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তারাগণ।
পড়ুন: জাকসু নির্বাচন : দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষিকার মৃত্যু
দেখুন: গাজা দখলের পরিকল্পনা নেতানিয়াহুর!
ইম/


