প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, ‘বিচার বিভাগ যাতে অযৌক্তিক রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত থাকে তা নিশ্চিত করা হয়েছে।’
সুপ্রিম কোর্ট ও ইউএনডিপি’র যৌথ উদ্যোগে ‘জুডিসিয়াল ইনডিপেনডেন্স অ্যান্ড এফিসায়েন্সি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচার বিভাগের সাম্প্রতিক নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি একথা বলেন।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী মামলার ‘রিভিউ’ নিষ্পত্তির মাধ্যমে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুদ্ধার ও শক্তিশালী করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের কাছে থাক বিধান বাদ দেয়া হয়েছে। বিচার বিভাগ যাতে অযৌক্তিক রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত থাকে তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অবশ্যই দক্ষতার পরিপূরক উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, আদালতের কার্যক্রমকে আরও দক্ষ ও স্বচ্ছ করতে প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। ডিজিটালাইজেশন এখন আর বিলাসিতা নয়, প্রয়োজন। আধুনিক সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তিকে একীভূত করার মাধ্যমে বিচারে বিলম্ব কমাতে, স্বচ্ছতা বাড়াতে এবং নির্বিঘ্ন করতে বিচার বিভাগ সচেষ্ট রয়েছে।আর এই উদ্যোগগুলো অর্জনের জন্য উন্নয়ন সহযোগীদের সমর্থন অপরিহার্য।’
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, আমাদের সমস্ত প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দুতে একটি একক উদ্দেশ্য হলো জনগণের সেবা করে এমন একটি বিচার বিভাগ তৈরি করা। আমি এমন একটি বিচার বিভাগকে কল্পনা করি যা জবাবদিহিতার একটি মডেল হিসাবে কাজ করবে। যেখানে প্রত্যেক বিচারপ্রার্থী তাদের অবস্থা বা পরিস্থিতি নির্বিশেষে নিশ্চিত বোধ করবে যে, নিরপেক্ষভাবে মামলার শুনানি ও নিষ্পত্তি করা হবে। আমি এমন একটি বিচারব্যবস্থা কল্পনা করি যা ব্যবধান দূর করে প্রযুক্তি, আইনি সহায়তা এবং পদ্ধতিগত সংস্কারের মাধ্যমে বিচারকে আরও সহজলভ্য করে তোলে। এই দৃষ্টিভঙ্গি আমার একার নয়, এটি একটি ভাগাভাগি আকাঙ্খা, যার জন্য সকল সুবিধাভোগীর (স্টেকহোল্ডারের) সম্মিলিত অঙ্গীকার প্রয়োজন।
রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও -এ আয়োজিত আজকের এই সেমিনারে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশে ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফান লিলার। সেমিনারে বিশেষ বক্তা ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম।
টিএ/