রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ক্রয়কৃত দলিলি জমিতে দোকানঘর তৈরি করতে গিয়ে বাঁধার শিকার এবং ফেসবুকে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন জামায়াতে ইসলামী নেতা আবু সাইদ সোহাগ।সে উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি।
শনিবার বেলা ১২ টায় গোয়ালন্দ সাংবাদিক ফোরাম কার্যালয়ে আবু সাইদ ও তার পরিবারের পক্ষ হতে এ সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবু সাইদ সোহাগ বলেন, গোয়ালন্দের উজানচর নতুন ব্রিজ এলাকায় পূর্ব উজানচর ভোলাই মাতুব্বর পাড়ায় বিএস ৪৬৫ নং দাগের স্বত্ত্ব দখলীয় মালিক মোঃ রমজান শেখের কাছ থেকে তার পিতা ২০২৩ সালে দলিলের মাধ্যমে দোকান ঘরের দেড় শতাংশ জমি ক্রয় করেন। পরবর্তীতে দেড় শতাংশ জমির নামজারিও সম্পন্ন করা হয়েছে। বিগত ২ বছর ধরে আমি সেখানে অবস্হান করে ব্যবস্থা পরিচালনা করে আসছি। কিন্ত গত ৮ অক্টোবর আমি শ্রমিক নিয়ে আমার দোকান ঘরটি ভেঙে বড় করতে গেলে জমির ওয়ারিশ দাবিদার স্হানীয় আব্দুল কুদ্দুস আমাকে বাঁধ প্রদান করে এবং থানায় গিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেয়। পরে পুলিশ এসে আমার কাজ ওইদিনের জন্য বন্ধ করে দেয়। পরে আমি পুলিশকে আমার বৈধ সকল কাগজপত্র দেখালে আমাকে থানা থেকে পুনরায় কাজ করতে অনুমতি দেয়। সে অনুযায়ী গত ১০ অক্টোবর শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে আমি সেখানে পুনারায় কাজ করা শুরু করি। কিন্তু ১১ টার দিকে থানা থেকে একদল পুলিশ এসে আমাকে, আমার পিতাকে এবং কাজে নিয়োজিত মিস্ত্রীদের জোর করে পুলিশ ভ্যান তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। পরে আমি থানার এসআই বিল্লাল হোসেনকে আমাদের সকল বৈধ কাগজপত্র দেখালে তিনি কাজ বন্ধ রেখে উভয় পক্ষের মধ্যে আপস রফা করার জন্য বলেন।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- তার বড় দুই ফুফাতো ভাই মোঃ আব্দুল আলিম ও ওসমান শেখ উপস্থিত ছিলেন।
জমির ওয়ারিশ দাবিদার আব্দুল কুদ্দুস সাংবাদিকদের কাছে দাবি করে বলেন, দেড় শতাংশ জমির বিক্রেতা রমজান শেখ তার আপন বড় চাচা। তিনি গোপনে জমিটি বিক্রি করেন বিএস ৪৬৫ নং ওই দাগে মোট ২৩ শতাংশ জমি রয়েছে যার মধ্যে আমার সারে ৬ শতাংশ ওয়ারিশ রয়েছে। জমির ওয়ারিশ মালিকানা ও দখল নিয়ে আদালতে কয়েকটি মামলাও চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই মোঃ বিল্লাল হোসেন জানান, আবু সাইদ সোহাগের পিতার জমি ক্রয়ের দলিল ও নামজারি পত্র দেখেছি। ওই জমি নিয়ে আদালতে বাটোয়ারা মামলা চলমান রয়েছে। এমতাবস্থায় সেখানে কাজ করতে গেলে মারামারি হওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই ওসি স্যারের নির্দেশে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ রেখে সমস্যা সমাধান করার কথা বলে আসি।
পড়ুন : রাজবাড়ীতে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত


