মা ইলিশ রক্ষায় রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে ২৫ লক্ষ বর্গমিটার অবৈধ কারেন্ট জাল এবং ১১ জেলেকে আটক করেছে। জব্দ করেছে ৫ কেজি ইলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর)দুপুরে পদ্মা নদীর কলাবাগান ও অন্তার মোড় এলাকায় নৌ-পুলিশের ঢাকা ও ফরিদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে উপজেলা মৎস্য বিভাগ, দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ডের সদস্যরা এ যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে আটককৃত ১১ জন জেলেকে মৎস্য সুরক্ষা আইনে ১৯৫০ খ্রিঃ সনের ৫ (২) (খ) ধারা মতে নিয়মিত মামলায় জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া আটককৃত কারেন্ট জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস ও মাছগুলো এতিমখানা ও স্থানীয় অসহায়দের মাঝে বিতরণ করা হয়।
এ বিষয়ে দুপুরের দিকে দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি প্রাঙ্গণে পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, গত ৪ অক্টোবর হতে শুরু হওয়া এ অভিযান আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে।
তাছাড়া জেলেরা যেন নদীতে মা ইলিশ না ধরে তাদেরকে নদীতে ডিম ছাড়ার সুযোগ দেয় সেই বিষয়ে সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে।
পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নৌ-পুলিশ ও কোষ্ট গার্ডের সহায়তায় নদীতে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে চারটি মামলা রুজু হয়েছে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৬০ জনের মতো জেলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে ২ কোটি ১০ লাখ বর্গমিটারের মতো অবৈধ কারেন্ট জাল। অভিযানে জব্দকৃত ২৬০ কেজি ইলিশ মাছ স্হানীয় গরিব,অসহায় ও বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।
অভিযানে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম পাইলট, দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ত্রিনাথ সাহা, এসআই মেহেদী হাসান অপূর্ব সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: এবার স্ত্রী’সহ দুদকের মামলার আসামী সাবের হোসেন চৌধুরী
দেখুন: কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
ইম/


