তহবিলে টান পড়ায় সম্প্রতি বাধ্য হয়ে রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা কাটছাঁটের পরিকল্পনা করছে জাতিসংঘ। সেই পরিকল্পনা ঠেকাতেই মিয়ানমার থেকে শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য জরুরি সহায়তার আবেদন করেছে ডব্লিউএফপি। বাংলাদেশ সরকারকে এ নিয়ে চিঠিও দিয়েছে সংস্থাটি।
কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে বাস করেন ১৫ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। শুরুর দিকে এই রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশের সরকার। পরে এক সময় দায়িত্ব নেয় জাতিসংঘ।
বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরের রোহিঙ্গাদের সবাই জাতিসংঘ থেকে খাদ্য সহায়তা বাবদ মাথাপিছু ১২ দশমিক ৫০ ডলার পান। রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তার বিষয়টি তদারক করে ডব্লিউএফপি।
এতদিন ডব্লিউএফপিতে সর্বোচ্চ অর্থ সহায়তা দিতো যুক্তরাষ্ট্র। তহবিলের ৮০ শতাংশই আসত যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসএইড থেকে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিদেশি সহায়তা স্থগিতের আদেশের পর সেই তহবিল বন্ধ হয়েছে।
ডব্লিউএফপির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যদি শিগগিরই সহায়তা না মেলে, তাহলে তহবিল সংকটের কারণে মাথাপিছু সহায়তা ৬ ডলারে নামিয়ে আনতে বাধ্য হবে জাতিসংঘ।

বর্তমানে রোহিঙ্গাদের যে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে,
তা অব্যাহত রাখতে হলে আগামী এপ্রিলের মধ্যে আরও ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং ২০২৫ সালের শেষ পর্যন্ত ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার সহায়তা প্রয়োজন।
বিষয়টি জানিয়ে ইতোমধ্যে গত বুধবার বাংলাদেশের সরকারকে চিঠিও দিয়েছে ডব্লিউএফপি। সেখানে বলা হয়েছে, রাহিঙ্গাদের অতিরিক্ত সহায়তা না মিললে আগামী ১ এপ্রিল থেকে সহায়তা কমাতে বাধ্য হবে জাতিসংঘ।
পড়ুন : নারীর অধিকার হুমকির মুখে: জাতিসংঘ মহাসচিব
দেখুন : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দ্বিতীয় বছরে, বন্ধের আহবান জাতিসংঘের |
ইম/