আজ ২৫ আগষ্ট। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ৭ বছর। কথা ছিল চুক্তির ৩ মাসের মধ্যে শুরু হবে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন। কিন্তু এখনো ফিরে যায়নি একজনও। বাড়ছে অপহরণ, খুন, মাদক পাচারসহ নানান সন্ত্রাসী কর্মকান্ড।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া শুরু করে রোহিঙ্গারা। এরপর গত ৭ বছরে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
এই রোহিঙ্গা ঢলে বিশ্বের অন্যতম পর্যটন নগরী কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ হয়ে উঠেছে, বিশ্বের সর্ববৃহৎ শরণার্থী শিবির। মানবতা দেখিয়ে চরম বিপদে এখন কক্সবাজারবাসী। বেড়েছে হত্যা, মাদকপাচার, ডাকাতি, অপহরণ, জমি দখলসহ নানান অপরাধমূলক কর্মকান্ড।
স্থানীয় ৫ লাখ জনসংখ্যার বিপরীতে ১২ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার অবস্থান, মানুষের দৈনন্দিন জীবন যাত্রাকে করে তুলেছে বিপর্যস্থ।
অন্যদিকে রোহিঙ্গারা বলছে, নিজেদের জায়গা, জমি, ভিটে, বাড়ি নাগরিকত্ব ও অধিকার ফিরে পেলেই ফিরবেন তারা। মিয়ানমার যাবে তারা।
সেই ঘটনার আজ সাত বছর পূর্ণ হলেও, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি এখনও। প্রক্রিয়া থেমে থাকার নানান কারণ সামনে আসলেও, কবে থেকে প্রত্যাবাসন শুরু হবে, তা জানেন না কেউ।
দীর্ঘদিন বাংলাদেশে অবস্থান করার ফলে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আগ্রহ যাতে হারিয়ে না যায়, সেজন্য দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার দাবি স্থানীয়দের।