15 C
Dhaka
শুক্রবার, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪

লক্ষ্মীছড়ির ফুটবলার মনিকা চাকমার গল্পটা সহজ নয়

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার কৃতি সন্তান দেশের আলোচিত নারী ফুটবলার লক্ষ্মীছড়ির মনিকা চাকমার ওঠে আসার গল্পটা সহজ ছিলো না।

সাফল্য কৃতি সন্তান মনিকা চাকমা। আলোচিত নারী ফুটবলারের নাম। যার বাড়ি খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা সুমন্ত পাড়ায়।

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বিরল অবদান রাখলো মনিকা। মণিকা চাকমা বক্সের ভিতর থেকে প্লেসিংয়ে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অধিনে পরিচালিত গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে লক্ষ্মীছড়ির মরাচেগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় টীমের হয়ে প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয়ে জেলা পর্যায় খেলেন মনিকা চাকমা। পরে জাতীয় পর্যায় খেলার ডাক পান অনূর্ধ্ব-১৪দলে। এ দলটি ২০১২সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত এএফসির টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে তৃতীয় স্থান ফেয়ার প্লে- ট্রফি জিতে। ওই আসরে মনিকা গোল করেছিল তিনটি।

মনিকা চাকমা বাংলাদেশের জাতীয় দলের নারী ফুটবল দলে খেলে মধ্যমাঠে। ২০১৯সালে অনূর্ধ্ব-১৯নারী আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে গোল করে পরিচিতি পান। ফিফা তার এ গোলকে ‘জাদুকরী গোল’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। নাম প্রচার পায় “ম্যাজিকেল মিনাকা”।

২০০৩ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর কৃষক পরিবারে জন্ম নেয়া মনিকা চাকমা এখন সকলের পরিচিত মুখ। ছোটবেলা থেকে ফুটবলের প্রতি মনিকার বাবার পছন্দ ছিলো না। তাই বাবার চোখ ফাঁকি দিয়ে চুরি করে ফুটবল খেলতেন। তাঁর সঙ্গী ছিলেন বড় বোন অনিকা চাকমা। মেয়ে হয়ে খেলবে ফুটবল? ফুটবল তো ছেলেদের খেলা। হয়তো এমনটা ধারণা পোষন করেছিলো মনিকার বাবা মা।

বাবা মা কখনোই ভাবেননি একদিন মনিকাই বাংলাদেশ মাতাবেন। বাব মা‘র পাঁচ মেয়ের মতো সবার ছোট মেয়ে মনিকা। হয়ত সেও লেখা পড়া শেষ করে সংসারী হয়ে যেতো। কিন্তু রক্তে মিশে গেয়ে ফুটবল তাই সকল বাঁধা পেরিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে ফুটবল খেলতেন দেশের আলোচিত এই মনিকা।

যে গ্রাম থেকে ওঠে আসলো মনিকা

লক্ষ্মীছড়ির গর্ব দেশের আলোচিত এ নারী ফুটবলার মনিকা চাকমার বাড়ি উপজেলা সদর থেকে ৭কি: মি: দুরে সুমন্ত পাড়া এলাকায়। বাবা পেশায় কৃষক। আর মা রবিমালা গৃহিনী। বাড়িতে যাওয়ার ভালো রাস্তা নেই। একটি ছড়া পার হয়ে যেতে হয়। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি হলে সেটা পার হওয়া সম্ভব না।

শিক্ষক বীরসেন চাকমা ও গোপাল দে ছিল মনিকা চাকমা ওঠে আসার পেছনের কারিগড়।

মনিকা চাকমার বাবা বিন্দু কুমার চাকমা বলেন, আমি আমার মেয়ের সাফল্যে আমি গর্বিত। মনিকা শুধু এলাকারই গৌরব উজ্জ্বল করেনি সারা দেশের গৌরব উজ্জল করেছে।

লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান অংগ্যপ্রুু মারমা বলেন, অভিনন্দন মনিকা চাকমাকে, অভিনন্দন বাংলাদেশ টীমকে।মনিকা আমাদের লক্ষ্মীছড়ির গর্ব।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন