15 C
Dhaka
শুক্রবার, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪

লক্ষ্মীপুরে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী নিহত

লক্ষ্মীপুরে বাইসাইকেলের গতিরোধ করে হিরা লাল দেবনাথ (৫৫) নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের তেতুল গাছ তলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত হিরা হামছাদী এলাকার গোবিন্দ ডাক্তার বাড়ির মৃত প্রফুল্ল দেবনাথের ছেলে ও কাজিরদিঘীর পাড় এলাকার মাতৃ জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী।

খবর পেয়ে লক্ষ্মীপুরে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর মেজর জিয়া উদ্দিন আহমেদ, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শংকর মজুমদার, বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি শিমুল সাহা সদর হাসপাতালে আসেন। এসময় তারা নিহতের স্বজনসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন।

হিরার ছেলে প্রিতম দেবনাথ বলেন, দোকান বন্ধ করে বাবা বাইসাইকেলযোগে বাড়ি যাচ্ছিলেন। আমি বাবার সামনেই মোটরসাইকেলে ছিলাম। এরমধ্যে একটি মোটরসাইকেল আরোহী তিনজন লোক দ্রুত গতিতে আমাদের আগে গিয়ে সামনে বাড়ির কাছাকাছি রাস্তার পাশে দাঁড়ায়। ঘটনাটি স্বাভাবিক ভেবে আমি বাড়ির রাস্তায় চলে যাই। তখন বাবা পেছন দিয়ে আসছিল। একপর্যায়ে বাবার সাইকেল গতিরোধ করে একজন লোক ছুরি দিয়ে কয়েকটি আঘাত করে। পরে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। বাবাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশনের (বাজুস) লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সভাপতি সমির কর্মকার বলেন, আমাদের এক সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের প্রতিনিধি দল হাসপাতালে গেছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শংকর মজুমদার বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যাকারীদেরকে চিহ্নিত করতে প্রশাসনের জোরালো হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক কমলা শীষ রায় বলেন, হীরা নামে একজনকে হাসপাতালে আনলে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে হাসপাতালের আনার আগেই তিনি মারা গেছেন। তার শরীরে দুটি অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মুন্নাফ বলেন, হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছি। বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

টিএ/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন