উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ায় অনিয়মিত অভিবাসী হিসেবে আটকেপড়া আরও ১৬৭ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ভোর ৫টায় বুরাক এয়ারের চার্টার্ড ফ্লাইটে তারা বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন হয়েছেন। এ সংবাদ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় বেনগাজি ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে ১৬ জন এবং গানফুদা ডিটেনশন সেন্টার থেকে ১৫১ জনসহ মোট ১৬৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরে এসেছেন।
প্রত্যাবাসিতদের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা। অধিকাংশ প্রত্যাবাসিত ব্যক্তিই সমুদ্রপথে অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার উদ্দেশ্যে মানবপাচারকারীদের প্ররোচনায় ও সহযোগিতায় অনুপ্রবেশ করেছিলেন। তাদের অনেকেই সেখানে বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হন।
বাংলাদেশ সরকার এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার পক্ষ থেকে প্রত্যাবাসিতদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। প্রত্যেককে ৬ হাজার টাকা, খাদ্যসামগ্রী, চিকিৎসা সেবা এবং প্রয়োজনে অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এই সময় সকলকে অনুরোধ করেন যেন তারা ভয়ংকর ও অনিরাপদ পথ পাড়ি দিয়ে লিবিয়ায় না যান এবং এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশিদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ত্রিপলিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এছাড়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মনে করেন, লিবিয়ার অভিবাসীদের নিরাপত্তা ও মানবাধিকার নিশ্চিত করার জন্য আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। তারা আশাবাদী যে, ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং অভ্যন্তরীণ সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।

এছাড়া, লিবিয়া থেকে বাংলাদেশিদের প্রত্যাবাসন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং সরকার তাদের নিরাপদ অবস্থানে ফিরিয়ে আনার জন্য আরও ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
পড়ুন: আরও দুই গণকবর থেকে ৫০ জনের মরদেহ উদ্ধার
দেখুন: নিয়ে মাফিয়াদের কাছে তিন যুবক বিক্রি |
ইম/