২৩/০৫/২০২৫, ১৩:১৮ অপরাহ্ণ
31 C
Dhaka
২৩/০৫/২০২৫, ১৩:১৮ অপরাহ্ণ

শরীয়তপুরে নাগরিক কমিটির নেতা গ্রেফতার

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ থানার জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য রিদোয়ান রাসেলকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। তবে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে ভেদরগঞ্জ থানা নাগরিক কমিটি।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সুর্যমনি গ্রামে তার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। সে জাতীয় নাগরিক কমিটির ভেদরগঞ্জ থানা শাখার একজন সদস্য।

পুলিশ জানায়, রিদোয়ান রাসেল/রাসেল আহমেদ বেপারী নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী ও সে সরকার বিরোধিতা ও আওয়ামিলীগ প্রচার প্রচারনায় জড়িত তাই তাকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে ভেদরগঞ্জ থানা সুত্রে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় নাগরিক কমিটির ভেদরগঞ্জ থানা শাখার লিখিত পেডে রিদোয়ান রাসেলকে গ্রেফতার প্রতিবাদ জানিয়ে একটি বিবৃতি দেয় সংগঠনটি। দলটি থানা কমিটির ১নং সদস্য উজ্জ্বল কুমার নিলয়ের সাক্ষরে বিবৃতিটি দেয়া হয়।

তিনি জানান, আমাদের সম্মানিত সদস্য রিদোয়ান রাসেল, যিনি জুলাই বিপ্লবের একজন সক্রিয় অংশীদার, তার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে একটি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্য বলে অপবাদ দিয়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং হয়রানিমূলক।এই অন্যায় আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানাই ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাই-রিদোয়ান রাসেল এর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। যিনি বা যারা এই ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়েরের পেছনে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পক্ষপাতমূলক ভূমিকার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।

ভেদরগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) পারভেজ আহমেদ সেলিম বলেন, আমরা জানি রাসেল বেপারী একজন ছাত্রলীগের কর্মী ও সরকারবিরোধী কর্মকান্ডে সে জড়িতের নানা অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তবে নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যে বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সকালে থানায় আসলে জানানো হয় বিষয়টি। কিন্তু আসামী আদালতে প্রেরণ করার পরে জানলাম সে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য।

পড়ুন : শরীয়তপুরে সরকারি ভাতার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারক চক্র

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন