কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ও পেনশন স্কিম প্রত্যয় বাতিলে শিক্ষকদের আন্দোলন যৌক্তিক বলে মনে করে বিএনপি। জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শনিবার (৬ জুলাই) সকালে গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে উভয় আন্দোলনেই সমর্থন জানান তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে সরকার। অন্যদিকে পেনশন স্কিম জনগণের টাকা লুটপাটে ক্ষমতাসীনদের নতুন কৌশল বলে মনে করেন মির্জা ফখরুল। বিএনপি ছাত্র ও শিক্ষদের এ আন্দোলনে ভর করছে না দাবি বিএনপি মহাসচিবের।
তিনি আরও বলেন, এই সময়ে প্রযুক্তি ও জ্ঞানভিত্তিক বৈশ্বিক ব্যবস্থায় টিকে থাকতে হলে মেধাভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। তাই সাধারণ ছাত্র সমাজের কোটা সংস্কার আন্দোলনের ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবিসমূহের সঙ্গে আমরা একমত।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সাল পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল বাংলাদেশে। ওই বছরই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবিতে কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু করে।
শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল যে ১০ শতাংশ কোটা করা হোক। তাদের দাবির মুখে সে বছর পুরো কোটা পদ্ধতিই বাতিল করে একটি পরিপত্র জারি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
কিন্তু ২০২১ সালে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা ফিরে পাবার জন্য উচ্চ আদালতে রিট করেন এবং গত ৫ জুন প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয় হাইকোর্ট। তারপর হাইকোর্টের ওই রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।