১৫/০৬/২০২৫, ৯:১১ পূর্বাহ্ণ
28.1 C
Dhaka
১৫/০৬/২০২৫, ৯:১১ পূর্বাহ্ণ

শিক্ষাব্যবস্থার জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবি বাকবিশিসের

বিচ্ছিন্নভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ না করে পুরো শিক্ষাব্যবস্থার জাতীয়করণ ও ইউনেস্কোর সুপারিশ মোতাবেক শিক্ষাখাতে জিডিপির ৬% বরাদ্দসহ এগারো দফা দাবি জানিয়েছে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস)।

শুক্রবার (২ মে) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানায় সংগঠনটি৷ এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা জানি শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, জাতি গঠনের কারিগর শিক্ষক। দেশের সিংহভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী দ্বারা । অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বিষয় এই যে, একই কারিকুলাম ও সিলেবাসে পাঠদান করা হলেও এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মাত্র ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া, ২৫% উৎসব ভাতা এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পেয়ে থাকেন। অবসরে যাওয়ার পরেও ৩/৪ বছরেও অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পাচ্ছেন না। উপরন্তু অন্যায়ভাবে বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪% কর্তন করা হচ্ছে। ইউনেস্কোর সুপারিশ অনুযায়ী শিক্ষাখাতে জাতীয় বাজেটের ২০ শতাংশ অথবা জিডিপির ৬ শতাংশ বরাদ্দ করার কথা থাকলেও ধারাবাহিকভাবে জিডিপির মাত্র ২ শতাংশের আশপাশে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। বাকবিশিস মনে করে এই বরাদ্দ ন্যূনতম ৪ শতাংশ করলেই শিক্ষাখাতের বিরাজমান সমস্যার বিরাট অংশ সমাধান করা সম্ভব। আমরা আগামী বাজেটে শিক্ষাখাতে ইউনেস্কোর সুপারিশের আলোকে বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, নানা ধরনের শিক্ষার ক্রমবর্ধমান প্রভাবে সাম্প্রদায়িকভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমাজ, মধ্যযুগীয় পশ্চাৎপদতায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে সমাজমানস। এজন্য শিক্ষকদের ওপর সম্প্রতি নজিরবিহীন হামলা, লাঞ্ছনা ও হয়রানি শুরু হয়েছে। বাকবিশিস চেতনাগত অবস্থান থেকে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে, প্রতিবাদ জানিয়েছে, অথচ অন্যান্য শিক্ষক সংগঠনসমূহের নিষ্ক্রিয়তা ও ক্ষমাহীন নিশ্চুপ ভূমিকার কারণে শিক্ষক ও শিক্ষাবিরোধী এ ঘৃণ্য অপতৎপরতার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা যাচ্ছে না।

পড়ুন: শিক্ষাব্যবস্থার গুণগত সংস্কারে মনোযোগ দেয়ার তাগিদ

দেখুন: ‘একশ বছর পিছিয়ে আছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা’

এস

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন