নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে কেঁপে উঠেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ভিত। স্বাধীনতা দিবসে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা ঘেরাও করেছেন বিক্ষুব্ধ নারী ও শিক্ষার্থীরা। ভাঙচুর হয়েছে হাসপাতালে। গোটা ভারতেই ছড়িয়েছে এই আন্দোলন।
গত ৯ আগস্ট কলকাতার সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নারী চিকিৎসক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়। ঘৃণ্য এই ঘটনার ন্যায়বিচার চেয়ে উত্তাল হয়ে উঠে গোটা কলকাতা। প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়ছে সারা দেশে। অনেক জায়গায় কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসকরা।
স্বাধীনতা দিবসে মধ্যরাতে কলকাতাসহ রাজ্যটির জেলায় জেলায় পথে নামেন নারীরা। তারা ‘রিক্লেইম দ্য নাইট’ কর্মসূচিতে মোমবাতি হাতে নিয়ে ঘেরাও করেন বিভিন্ন সরকারি অফিস।
এদিকে, ন্যায়বিচারের দাবিতে আন্দোলনের সময় হাসাপতাল ও বাজারহাটসহ বিভিন্ন স্থাপনায় তাণ্ডব, ভাঙচুর চালানো হয়। আন্দেলনকারীরা বলেছেন, ভাঙচুরকারীরা তাদের কেউ নন। তারা বহিরাগত।
প্রশ্ন উঠছে, কার মদদে হাসপাতালের ভেতরে এই ধরনের হামলা চলল? রাজ্যটির ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ভাতিজা অভিষেক ব্যানার্জি বলেছেন, অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে।
এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন আরজিক হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. সন্দীপ ঘোষ। কলকাতা পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার পেয়ে, মাঠে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা- সিবিআই।