শিগগিরই বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর পাওনা পরিশোধ শুরু করবে সরকারি পিডিবি। পিডিবি চেয়ারম্যান বলছে, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে তহবিল পাচ্ছেন না তারা। বিনিয়োগকারীরা বলছেন, বিল পেলেই করা হবে তেল আমদানির এলসি। বিশ্লেষকদের পরামর্শ, বকেয়া না পেলে বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর শক্ত পদক্ষেপ নেয়া দরকার, যাতে চাপে পড়ে পিডিবি।
পিডিবিকে বেসরকারি কেন্দ্রগুলো বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। সেই বিদ্যুৎ দিয়ে সারা দেশে সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখে সংস্থাটি। তবে চুক্তি মোতাবেক দেনা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে সরকারি প্রতিষ্ঠানটি। আর দেনা বাড়তে বাড়তে জমেছে হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা।
বেসরকারি উদ্যোক্তারা বলছেন, বকেয়া না পেলে, তারা প্রাথমিক জ্বালানি, তেল আমদানি করতে পারছে না, ফলে ব্যাহত হবে বিদ্যুৎ উৎপাদন-সরবরাহ। যাতে ঝুকিতে পড়বে সারা দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ, বাড়তে পারে লোডশেডিং। পরিস্থিতি আচ করতে পেরে, বেসরকারি কোম্পানীগুলোকে পাওনা দিতে তৎপর হয়ে ওঠেছে পিডিবি।
উন্মুক্ত দরপত্র জিতে ও সরকারের বিশেষ অনুমোদনে ব্যক্তিখাত বিনিয়োগ করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে। বিশ্লেষকরা পিডিবির এই দায়কে অপ্রত্যাশিত বলছেন জ্বালানি বিশ্লেষক বদরুল ইমাম। তিনি বলছেন, বিল না দিলেও বিদ্যুৎ সরবরাহ না করার কঠোর পদক্ষেপে গেলেও দোষের হবে না।
উদ্যোক্তারা বলছেন, চলতি সপ্তাহে বাকি দিনগুলোতে যদিও তারা অর্থ পায়, তবে নতুন করে তেল আমদানির ঋণপত্র তারা খুলতে পারে। এতে হয়তো সামাল দেয়া যাবে আসছে বাড়তি চাহিদার মৌসুমটা। প্রাথমিক জ্বালানি আনা না গেলে, সরকার ও পিডিবি পড়বে প্রশ্নের মুখে।
অবশ্য, পিডিবি বলছে, বিপুল দেনার পুরোটা তারা এক সঙ্গে পরিশোধ করতে পারবে না, মূলত অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে তহবিল না পাওয়ায়। তাই বেসরকারি উদ্যোক্তারা বার বার চিঠি আর তাগাদা দিলেও, তাদের করার কিছু থাকছে না।
এনএ/