বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, আজ জাকসু নির্বাচনেও শিবিরের কারচুপি ও ষড়যন্ত্র উন্মোচিত হওয়ায় ছাত্রদল নির্বাচন বর্জন করতে বাধ্য হয়েছে । প্রহসনের বিপরীতে প্রতিকার না পেলে কারচুপি ও ষড়যন্ত্রের স্বাক্ষী গোপাল হয়ে থাকার দল ছাত্র দল নয় । তিনি বলেছেন গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নস্যাতে পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্য, রাজনৈতিক হানাহানি এবং অস্থিরতা সৃষ্টি করতে জাতীয় নির্বাচনের আগে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে নির্বাচনের নামে প্রহসনের অয়োজন করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে ।
তিনি আজ দুপুর ৩টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের কইচাপুর ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডে বিএনপির পৃথক পৃথক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। দুপুর ৩টায় রুহিপাগাড়িয়া প্রাইমারী স্কুল মাঠে ৮নং ওয়ার্ড, বিকেলে সোনামুখায় ঘাটপাড়ে ৯নং ওয়ার্ড ও সন্ধ্যায় বোর্ড বাজারে ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ।
তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে প্রতিদিন ষড়যন্ত্র ও সংকট ঘনিভূত করা হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের সাথে কয়েকজন উপদেষ্টা ও নবীন-প্রবীণ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এবং অরাজনৈতিক কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি জড়িত । তিনি বলেন , জনগণ নির্বাচনের পথে কোনো প্রতিবন্ধকতা বা নৈরাজ্য সহ্য করবে না উল্লেখ করে বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন , জনগণকে সাথে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র নস্যাত করে দেয়া হবে । নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শাসন ও গনতন্ত্র ছাড়া দেশ চলবে না। ফেব্রুয়ারীর প্রথমার্ধে নির্বাচন হতেই হবে, নচেৎ দেশ ও জাতির অভাবনীয় ক্ষতি হয়ে যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন ।
সম্মেলনে বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ডাকসু নির্বাচন বিএনপির চোখ খুলে দিয়েছে। বাংলাদেশপন্থীদের বিজয় ঠেকিয়ে দিতে ভারতপন্থী ও পাকিস্তানপন্থীদের অশুভ আঁতাত ধরা পরে গেছে । ৭১ এর স্বাধীনতা ও ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান বিরোধী অপশক্তি এক হয়ে সর্বনাশা খেলায় মেতে উঠেছে। ডাকসু নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে জনগণকে সাথে নিয়ে জাতীয় নির্বাচনে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা হবে।
সম্মেলনে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না। হতাশার কিছু নাই, জনগণকে সাথে রেখে, জনগণকে সঙ্গে রেখে মনোবল অটুট রাখতে হবে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে।
তিনি আরও বলেন, ডাকসু নির্বাচন বিএনপির চোখ খুলে দিয়েছে। বাংলাদেশপন্থীদের বিজয় ঠেকিয়ে দিতে ভারতপন্থী ও পাকিস্তানপন্থীদের অশুভ আঁতাত ধরা পরে গেছে। ৭১ এর স্বাধীনতা ও ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান বিরোধী অপশক্তি এক হয়ে সর্বনাশা খেলায় মেতে উঠেছে। ডাকসু নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে জনগণকে সাথে নিয়ে জাতীয় নির্বাচনে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা হবে ।
তিনি বলেন, কয়লা ধুইলে যেমন ময়লা যায় না, তেমনি আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের খাইসলোত যাবে না। এরা রাজনীতির সরল ও স্বাভাবিক পথে নয়, সবসময় বাঁকা পথ ধরে নিজেদের দলীয় হীন স্বার্থ উদ্ধার করতে চায়। তাদের মধ্যে অদ্ভুত মিল খুজে পাওয়া যায়। তারা উভয়েই গণহত্যাকারী, উভয়েই ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যাকানিজমে সিদ্ধহস্ত , উভয়েই জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন, উভয়েই মিথ্যাবাদী, প্রতারক, মোনাফেক ও অকৃতজ্ঞ। ক্ষমতার লোভ ও দলীয় স্বার্থে তারা জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে বিদেশী প্রভুদের মনোরঞ্জন ও পদলেহন করে।
কইচাপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক সায়েদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নুরুল ইসলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সন্মেলন সমূহে অন্যান্যের মধ্যে হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম মিয়া বাবুল, সদস্য সচিব আবু হাসনাত বদরুল কবীর, উপজেলা বিএনপি নেতা আবুল কালাম আযাদ, আলী মাহমুদ, মোর্শেদ আলম, রেজাউল আহসান, জেলা যুবদলের সহ সভাপতি তারিকুল আয়ালম চঞ্চল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক রুহুল আমিন খান, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান, পৌর ছাত্র দলের সদস্য সচিব তাজবীর হোসেন অন্তর, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মির্জা সারওয়ার তাইয়েব, উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব জাকির হোসেন চঞ্চল, কইচাপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইফতেখার রসূল খোকন, মির্জা মিজান, রুহুল আমিন ফকির, আবুল কাশেম, নূর হোসেন, হারুন অর রশীদ, মির্জা বাশার, আবুল কাশেম প্র্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
পড়ুন : ময়মনসিংহের ত্রিশালে যুবককে নির্মম হত্যা: মাথায় ইটের আঘাতের অভিযোগ

