15.1 C
Dhaka
রবিবার, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫

‘শূন্য’ রানের রেকর্ডে সবার উপরে সৌম্য

সৌম্য সরকারকে যেন কিছুতেই ফর্মে ফেরানো যাচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজের পর বিশ্বকাপের মঞ্চেও হাসছে না বাঁহাতি এই ব্যাটারের ব্যাট। লম্বা সময় ধরে ফর্মে না থাকলেও বিশ্বকাপে দলের সঙ্গে আছেন তিনি। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে রানের খাতা না খুলতে পারলেও এক লজ্জার রেকর্ড গড়লেন সৌম্য সরকার।

বিশ্বকাপে সৌম্য সরকারের দলে সুযোগ পাওয়ায় আলোচনা হয়েছিল বেশ। প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়ে সেই আলোচনায় যেন আগুনে ঘি ঢেলে দিলেন সৌম্য। ১২৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পা হড়কাতে ভুল করেননি সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসান তামিম। সৌম্য তো টিকলেন মাত্র দুই বল, স্লগ সুইপ করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে দ্বিতীয় বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরলেন শূন্য রানে।

পার্টটাইমার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে  প্রথম বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ব্যর্থ হন সৌম্য। তবে তিনি ধীরস্থির থাকতে পারলেন না মিড অনে উড়িয়ে মারার চেষ্টায় ক্যাচ দিয়ে বসেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার হাতে। 

এমন অহেতুক শটে আউটের পরই ডাক মারার দিক থেকে লজ্জার এক রেকর্ড গড়েছেন সৌম্য। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ‘শূন্য’ রান করার রেকর্ড এখন বাংলাদেশের এই ওপেনারের দখলে। এ নিয়ে ১৩ বার শুন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তিনি।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এত দিন সর্বোচ্চ “শূন্য” রানে আউট হওয়ার বিব্রতকর বিশ্ব রেকর্ডটি ছিল স্টার্লিংয়ের দখলে। ১৫ বছরের টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ১৪৪টি টি-টোয়েন্টি খেলে মাত্র ১৩বার “শূন্য” রানে আউট হয়েছেন পল স্টার্লিং। তবে সৌম্য সরকারের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের বয়স স্টার্লিংয়ের প্রায় অর্ধেক। কিন্তু আজ “শূন্য” রানে আউট হওয়ায় সৌম্য এবং স্টার্লিং এখন সমানে সমান।

শূন্য রানে আউট হওয়ার তালিকায় দুইয়ে আছেন রুয়ান্ডার কেভিন ইরাকোজে, আয়ারল্যান্ডের কেভিন ও ব্রায়েন এবং ভারতের রোহিত শর্মা। বাংলাদেশিদের মধ্যে সৌম্যর পরে আছেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। তারা দুজন শূন্য রানে আউট হয়েছেন ৮ বার করে।

গত কিছুদিন ধরে সৌম্যর ব্যাট যেন ঘুমন্ত! ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে সৌম্য আউট হয়েছিলেন “শূন্য” রান করে । ২ বল খেলে “শূন্য” রান করে আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে এক সমর্থক বলে উঠেন, “আপনাকে দিয়ে আর হবে না ভাই। আপনি তো ‘শূন্য সরকার’ হয়ে গেলেন।”

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন