১৯/০৫/২০২৫, ১:০১ পূর্বাহ্ণ
25.4 C
Dhaka
১৯/০৫/২০২৫, ১:০১ পূর্বাহ্ণ

শেখ হাসিনা ও সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দেশে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ, একপেশে, ষড়যন্ত্রমূলক এবং ভোটারবিহীন দাবি করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হায়দার আলীর আদালতে মামলাটির আবেদন করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আবদুল বারী ভূঁইয়া।

শুনানি শেষে রোববার (১১ মে) এ ব্যাপারে আদেশের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ূন কবীর মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি এ মামলায় বাদীপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন। তাকে সহায়তা করেছেন আরও কয়েকজন আইনজীবী।

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সাবেক তথ্য উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক তথ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রাকিব উদ্দিন আহমেদ, কে এম নুরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল, সাবেক প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন এবং সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আশিক উল হককে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় সাক্ষী দেখানো হয়েছে নয়জনকে।

মামলার আর্জিতে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জালিয়াতি করে বিনা ভোটের মাধ্যমে গত দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। অনিয়ম ও কারচুপির ওইসব নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার ছিল না। বাংলাদেশকে নতজানু রাষ্ট্রে পরিণত করতে ওইসব নির্বাচনের আয়োজন করে একটি পক্ষকে একতরফাভাবে জয়ী করার ব্যবস্থা করা হয়। যা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।

মামলার বাদী অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভূঁইয়া বলেন, ‘অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর আজ্ঞাবহ হয়ে ষড়যন্ত্র করে ভোটারবিহীন ডামি নির্বাচন করেছেন আসামিরা। তাই আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছি। আদালত এই মর্মে মামলা হয়েছে কি না, এ বিষয়টি জানাতে সংশ্লিষ্ট থানাকে তলব করেছেন। সেইসঙ্গে আগামী ৩ জুন শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

পড়ুন : সাবেক তিন সিইসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন