বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার না করা হলে, দেশের জনগণ তাদের ক্ষমা করবে না। ইউনূস তাঁর দুবাই সফরের সময় সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকারে থাকা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা হবে এবং তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।
শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর জন্য ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে ইউনূস বলেন, তার বিরুদ্ধে আমাদের কাছে অনেক প্রমাণ রয়েছে এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত হাইকমিশনারের প্রতিবেদনেও তার অপরাধের তথ্য নথিভুক্ত আছে। তিনি বলেন, এই অপরাধগুলো আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন এবং সরকার এই পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ইউনূস আরও বলেন, তাদের আইনি প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।
এরপর গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গণঅভ্যুত্থানে পতনের আগে টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে আনুমানিক ১ হাজার ৪০০ জনের মতো মানুষ মারা যান।
এছাড়াও, তিনি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন। ইউনূস বলেন, সরকারের দায়িত্বের সময়সীমা শেষ হলে তিনি নির্বাচন অনুষ্ঠিত করে ক্ষমতা বর্তমান নির্বাচিত সরকারের কাছে হস্তান্তর করবেন। এ সময়, সরকারের বিভিন্ন খাতে সংস্কার আনার জন্য ১৫টি কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং সেগুলোর প্রতিবেদন আসতে শুরু করেছে।
ড. ইউনূস বলেন, রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের মতামতের ভিত্তিতে দেশের জন্য একটি ঐকমত্য গঠন করা হবে এবং সেসব সুপারিশ নিয়ে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। তিনি জানান, এই নির্বাচনে মানুষের আস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য একটি স্বচ্ছ, বিশ্বাসযোগ্য এবং দৃশ্যমান নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যা জনগণ উদ্যাপন করবে।
পড়ুন :শেখ হাসিনাকে ফেরাতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিল্লিকে দিয়েছে ঢাকা
দেখুন :সুষ্ঠু ভোট আমাকে শেখাতে হবে না|
ইম/