শেখ হাসিনার বহরে হামলা মামলা থেকে খালাস পেলেন বিএনপি নেতা হাবিববৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মোহাম্মদ আলী ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর আগে এ মামলায় ২০২১ সালে বিএনপির এ নেতাকে ১০ বছরের সাজাসহ ৫০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়।
গত বছরের ২৭ আগস্ট এ মামলায় জামিনে পান বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব।
হাবিবুল ইসলাম হাবিবের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় বিএনপির এ নেতা জড়িত ছিলেন না। শুধুমাত্র দুইটি গুলির খোসা দেখিয়ে মিথ্যা মামলায় তাকে সাজা দেয়া হয়। মামলা থেকে তাকে খালাস দেয়ায় তিনি ন্যায় বিচার পেয়েছেন, বাকি আসামিরাও ন্যায় বিচার পাবেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়-২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারিতে ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় ৫০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়।
সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ তিনজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারক।
১০ বছরের কারাদণ্ড পাওয়া বাকি দুজন হলেন- মো. আরিফুর রহমান ওরফে রঞ্জু ও রিপন। এরা দুই জনই পলাতক।
পলাতক আসামি যুবদল নেতা আব্দুল কাদের বাচ্চুকে দেয়া হয় নয় বছরের কারাদণ্ড। বাকি ৪৬ জন আসামিকে চার বছরের কারাদণ্ড থেকে শুরু করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়।

শেখ হাসিনার বহরে হামলা
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলদি গ্রামের এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে দেখতে যান। সড়কপথে যশোরে ফেরার পথে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। বোমা বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। ওই সময় হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র আইনে তিনটি মামলা করা হয়।
পড়ুন: পঙ্গু হাসপাতালে গিয়ে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ নির্দেশ দেন: চিফ প্রসিকিউটর
দেখুন: যত অন্যায় হয়েছে তার ৯০ ভাগ করেছে
ইম/