ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গণহত্যায় জড়িত সবার ফাঁসির দাবিতে এবার আমরণ অনশনের ডাক দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে সড়কে অনশনে বসেন বৈষম্যবিরোধীরা। এতে সড়কের একপাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে, সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। সেখানে তারা আট দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হচ্ছে-সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত এনে বিচার করতে হবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণা করতে হবে। সব হত্যা, গুম, খুন, ধর্ষণ, অপরাধ ও নির্যাতনের বিচার করতে হবে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।
আওয়ামী লীগ নেতাদের অবৈধভাবে অর্জিত সব অর্থ ও সম্পদ রাষ্ট্রীয়ভাবে বাজেয়াপ্ত করতে হবে। বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে হবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের জীবনের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে গ্রহণ করতে হবে। নতুন সংবিধান প্রণয়ন করাসহ রাষ্ট্রের যাবতীয় গণতান্ত্রিক সংস্কারের রূপরেখা প্রদান করতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে তারা প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কেই বসে পড়েন। কর্মসূচিতে এখনও সক্রিয় রয়েছে বৈষম্যবিরোধী নেতাকর্মীরা। ফলে সড়কের একপাশে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে এই কর্মসূচিতে দেখা যায়নি চট্টগ্রামের শীর্ষ সমন্বায়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বা তার কোনো অনুসারীদের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক রাসেল আহমেদ বলেন, চব্বিশের রক্তক্ষয়ী জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার ওপর বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড পরিচালনাকারী খুনি হাসিনাসহ সকল হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে আমরা আমরণ অনশনের ডাক দিয়েছি।
রাসেল বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে যারা জুলাই আন্দোলনে আমাদের ভাই-বোনদের ওপর গুলি চালিয়েছে, তাদের বিচারের জন্য যতদিন দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না আমরা এখান থেকে উঠবো না। যে জন্য আমাদের ভাইয়েরা শহীদ হয়েছেন, মানবিক এবং বৈষম্যহীন রাষ্ট্র বিনির্মাণ করতে হবে।
সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ ও অনশনে নামা ছাত্র-জনতার ভাষ্য, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদত্যাগ ও অপশাসন-নির্যাতনের প্রতিবাদে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ও ১৮ ফেব্রুয়ারি হরতালের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এর প্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দরা। এর প্রেক্ষিতেই তারা রাজপথে নেমেছেন আবারও।
পড়ুন:সীমান্তে ভারতকে বেড়া তৈরির অনুমতি দিয়েছিল শেখ হাসিনা: রিজভী
দেখুন:সুষ্ঠু ভোট আমাকে শেখাতে হবে না: শেখ হাসিনা
ইম/