১৬/০৬/২০২৫, ১৩:২৭ অপরাহ্ণ
32 C
Dhaka
১৬/০৬/২০২৫, ১৩:২৭ অপরাহ্ণ

শেয়ারবাজার: লোকসানে থাকা বিনিয়োগকারীরা অনিশ্চয়তায়

টানা পতনের ধকল কাটিয়ে অবশেষে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের শেয়ারবাজার। কিন্তু বাজার এগুচ্ছে খুব ধীর গতিতে। যার ফলে বিনিয়োগকারীদের লোকসানের মাত্রা আশানুরূপ কমছে না। এতে বাজারের প্রতি আস্থা রেখে লোকসান সমন্বয় বা শেয়ার ধরে রাখবেন কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

তবে সাময়িক ক্ষতি হলেও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) জিরো টলারেন্স নীতির ওপর আস্থা রাখছেন বিনিয়োগকারীরা।

জানা যায়, শেয়ারবাজার নিয়ে এক প্রকার জিরো টলারেন্সে রয়েছে বিএসইসি। নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্মকর্তাদের ওএসডি করা, বিতর্কিত কমিশনারকে অব্যাহতি দেওয়া, সিকিউরিটিজ হাউজগুলোর অনিয়মকে কোন রকম প্রশ্রয় না দিয়ে তাৎক্ষণিক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া, তালিকাভুক্ত কোম্পানি শর্ত পরিপালন না করায় তাদের আবেদন পুন:বিবেচনা না করা ইত্যাদি মিলিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম বিনিয়োগকারীদের প্রশংসায় ভাসাচ্ছে।

যদিও এতে গোটা পুঁজিবাজারের সামগ্রিক ক্ষতি হচ্ছে। এক শ্রেণীর বিনিয়োগকারী বাই মুডে না থেকে ডে-ট্রেডারের ভূমিকা পালন করে মার্কেটকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। কিন্তু এ সমস্যা সাময়িক বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
তারা বলছেন, যখন এ মার্কেটে বিদেশিরা দেখবে স্বচ্ছতা রয়েছে, অনিয়মের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তখন তারা বিনিয়োগ নিয়ে আসবে। এছাড়া দেশিয় বিনিয়োগ আসা সময়ের অপেক্ষা মাত্র। এখন যারা মার্কেটকে অস্থির করায় তৎপর রয়েছে কিছুদিন পর তারাই আফসোস করবে। কারণ তাদের হাতের নিয়ন্ত্রণ তখন আরেক পক্ষ নিয়ে নেবে। তাই সাময়িক ক্ষতি হলেও শেয়ারবাজার দীর্ঘমেয়াদে সুফল পেতে যাচ্ছে বলে মনে করেন তারা।

জানা যায়, আজ ১১ সেপ্টেম্বর ডিএসই’র ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ০.২২ শতাংশ বা ১২.৫৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করেছে ৫ হাজার ৭২৬.৫২ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪.৭৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৪৫.৬৮ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ৭.০৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করেছে ২ হাজার ১০০.৭৫ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৮টির, কমেছে ১৮১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৮টির। অর্থাৎ পুঁজিবাজারে আজ ৩৯.৮০ শতাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে। সারাদিনে ডিএসইতে ১৭ কোটি ৫০ লাখ ৮৮ হাজার ৭৪৫টি শেয়ার ১ লাখ ৮৮ হাজার ৯৭৬ বার হাতবদল হয়েছে। আর দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ৭৩৩ কোটি ৩৯ লাখ ৫২ হাজার টাকা।

এদিকে আজ দিন শেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক সিএএসপিআই ০.১৪ শতাংশ বা ২১.৯৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করেছে ১৬ হাজার ১৪০.০২ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২১১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৭২টির, কমেছে ১০৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির। আজ দিন শেষে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ৯৯ লাখ ৮৭ হাজার ১৩৪ টাকা।

গত কার্যদিবসে অর্থাৎ ১১ সেপ্টেম্বর ডিএসই’র ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ০.২০ শতাংশ বা ১১.১৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করেছিল ৫ হাজার ৭১৩.৯৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫.৫৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করেছে ১ হাজার ২৪০.৯২ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ৬.৯৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করেছে ২ হাজার ১০৭.৮১ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছিল ১৬৩টির, কমেছিল ১৭২টির এবং অপরিবর্তিত ছিলো ৬২টির। অর্থাৎ পুঁজিবাজারে গত কার্যদিবসে ৪১.০৬ শতাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধি পায়। সারাদিনে ডিএসইতে ১৮ কোটি ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৩৩৬টি শেয়ার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯১৮ বার হাতবদল হয়। আর দিন শেষে লেনদেন হয় ৬২৫ কোটি ১৫ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ১০৮ কোটি ৩৩ লাখ ৬৯ হাজার টাকা।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন