১৪/০৬/২০২৫, ১৩:২১ অপরাহ্ণ
35.3 C
Dhaka
১৪/০৬/২০২৫, ১৩:২১ অপরাহ্ণ

মেক্সিকোতে সড়ক দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত জন

মেক্সিকোর মধ্যাঞ্চলে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৮ জন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান এবং পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ৩ জন মারা যান। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। দুর্ঘটনাটি ঘটে একটি সিমেন্টবোঝাই ট্রাকের ওভারটেকের চেষ্টার সময়, যা একসাথে তিনটি গাড়ির সংঘর্ষের কারণ হয়। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

ঘটনাটি ঘটে স্থানীয় সময় বুধবার সকালে, দেশটির পুয়েবলা প্রদেশের কুয়াকনোপালান ও ওয়াহাকা শহরের মধ্যবর্তী একটি মহাসড়কে। পুয়েবলার স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা স্যামুয়েল আগুইলার পালা জানান, আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং কিছুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম লা হোর্নাদা জানায়, দুর্ঘটনায় জড়িত ছিল একটি সিমেন্টবোঝাই ট্রাক, একটি যাত্রীবাহী বাস এবং একটি ভ্যান। ট্রাকটি একটি ভ্যানকে ওভারটেক করতে গিয়ে বিপরীত লেনে চলে যায় এবং প্রথমে একটি বাসকে ধাক্কা দেয়, পরে একটি ট্রান্সপোর্ট ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের পর ট্রাকটি রাস্তা থেকে ছিটকে একটি গিরিখাতে পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গেই আগুন ধরে যায়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, দুর্ঘটনাস্থল থেকে বিশাল ধোঁয়ার কুণ্ডলি আকাশে উঠছে এবং রাস্তার বড় একটি অংশের রেলিং ভেঙে পড়েছে। যদিও ভিডিওটির সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করেনি বিবিসি।

মেক্সিকোতে হাইওয়ে দুর্ঘটনা নতুন নয়। বিশেষ করে ভারী যানবাহন এবং যাত্রীবাহী বাসগুলোর মধ্যে এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রায়শই ঘটে থাকে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেও দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের তাবাসকো প্রদেশে একটি বাস দুর্ঘটনায় বহু প্রাণহানি ঘটে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেক্সিকোর সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল। অতিরিক্ত গতি, ওভারলোডিং এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে থাকা সড়ক অবকাঠামো—এই তিনটি কারণকে তারা এই দুর্ঘটনাগুলোর মূল উৎস বলে মনে করেন। সরকারের পক্ষ থেকেও সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে বারবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও বাস্তবে এর বাস্তবায়ন খুবই সীমিত।

পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলের হামলায় একদিনে নিহত ২৭

দেখুন: রকেট ছুড়ে ই/স/রা/য়ে/ল/কে জবাব দিচ্ছে হা/মা/স, হাই অ্যালার্টে ই/রা/

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন