শীতকালীন সবজিতে স্বস্তি মিললেও করলা,পটল,বরবটি ও মটরশুঁটির দাম এখনো শতকের ঘরে। চাল-তেল-মাছ-মাংসের দামেও ঊর্ধ্বগতি। ব্যবসায়ীদের অভিযোগের তীর মিলার ও কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর দিকে। তবে সিন্ডেকেট ভাঙ্গতে মনিটরিং জোরদার করার দাবী ক্রেতাদের।
শীতকালীন সবজিতে সয়লব রাজধানীর অধিকাংশ বাজার। এসব পণ্যের দামও স্বস্তি দিচ্ছে ক্রেতা মনে। অধিকাংশে মিলবে পঞ্চাশ টাকা কিংবা তার কমে। তবে শীতকালীন সবজির দর ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকলেও করলা,পটল, মটরশুঁটি,ও ঢেড়শের দাম এখনো শতকের ঘরে। ক্রেতারা বলছেন,বাজারের এ পরিস্থিতি ধরে রাখতে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদারের কথা।
সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও তার উল্টো চিত্র মুদি পণ্যে। সরু চাল প্রতি কেজি ১০ থেকে ১২ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে নাজিরশাইল ৯০ টাকা, মিনিকেট ৮০ টাকা। মোটা চালের দামও কেজিতে বেড়েছে ছয় থেকে সাত টাকা। দাম বৃদ্ধিতে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ মিলার ও কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর দিকে।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই অস্থির সয়াবিন তেলের দর। বাজারে এখনো পর্যাপ্ত সরবরাহর নেই তেলের। সেইসাথে মশলার দামেও নতুন আগুন। এলাচ কেজি প্রতি বেড়েছে এক হাজার টাকা। এছাড়াও অন্য সব মশলায় কেজিতে বেশি গুনতে হবে চারশো থেকে পাঁচশো টাকা।
শীতকালীন পণ্যে সবজি দর নিন্মমুখী হলেও দাম বেড়েছে মাছ- মাংসের। পোল্ট্রি মুরগী কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২১০, সোনালী ৩৪০ আর দেশী সাড়ে পাঁচশো করে। ইলিশের দামেও রীতিমতো অবাক। এক কেজি সাইজের ইলিশ কিনতে গুনতে হবে আড়াই হাজার টাকা।
সঙ্গ বদ্ধ সিন্ডিকেট কে সম্পূর্ণ রুপে বিতারিত করতে পারলে পণ্যদ্রব্যের মূল্য আরো সহনীয় পর্যায় নেমে আসবে একইসাথে বাজার ফিরবে স্বস্তি বলেছেন ক্রেতারা।
এনএ/