17 C
Dhaka
শনিবার, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৫

সম্পদশালী হয়ে ‘সৈয়দ’ উপাধি ব্যবহার করতেন আবেদ আলী

ছোটবেলায় ছিলেন কুলি, পরবর্তীতে পিএসসির ড্রাইভার। এই চাকরিই বদলে দিয়েছে আবেদ আলীর জীবন। প্রশ্নফাঁস করে টাকা কামিয়েছেন দুই হাতে। মাদারীপুরের ডাসারে গড়েছেন বিলাসবহুল ভবন। স্বপ্ন ছিল উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার। এ জন্য দান খয়রাতও করতেন প্রচুর। জালিয়াতি করে সম্পদশালী হওয়া আবেদ আলীর বিচার চান এলাকাবাসী।

সৈয়দ আবেদ আলী জীবন মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার পশ্চিম বেতলা গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান মীরের ছেলে। এলাকায় তিনি মানুষের কাছে পরিচয় দিতেন শিল্পপতি হিসেবে।

প্রশ্নফাঁসের সাথে জড়িত হয়ে গ্রামে গড়েছেন বহুতল অট্টালিকা। তৈরী করেছেন নিজের নামে মসজিদ। অভিযোগ রয়েছে, নিজের জমির সাথে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি দখল করে তৈরি করেছেন গরুর খামার। এলাকায় কেউ জানতেন না আবেদ আলী ড্রাইভার ছিলেন। সবাই জানতেন তিনি সচিবালয়ে চাকরি করেন।

গত কয়েক বছর থেকে এলাকায় ব্যাপক দান খয়রাত করা শুরু করেন। তার লক্ষ্য ছিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হবেন। হঠাৎ করে বিপুল বিত্ত বৈভবের মালিক হলেও এসবের উৎস ছিল মানুষের অজানা।

আবেদ আলী, বিত্ত বৈভবে ফুলেফেঁপে ওঠার সাথে সাথে নিজের বংশ পরিচয়ও মুছে ফেলেন। মীর বংশের পরিবর্তে তিনি নামের আগে ব্যবহার করেন সৈয়দ পদবী। এই নিয়ে ডাসার উপজেলার সৈয়দ বংশের লোকজন ক্ষুব্ধ।

আবেদ আলীর দখল করা সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাদারীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কানিজ আফরোজ।

আবেদ আলীর অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কেউ অভিযোগ দিলে প্রধান কার্যালয়ের সাথে আলাপ করে অনুসন্ধান করা হবে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন