সম্প্রতি জমি সংক্রান্ত এক বিতর্কের কারণে চিত্রনায়িকা পপি এবং তাঁর পরিবার নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। থানা থেকে আদালত পর্যন্ত গড়ানো এই বিষয়টি এখন পুরো মিডিয়া জুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বিতর্কের মধ্যে, প্রয়াত চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী ও দিতির মেয়ে লামিয়া চৌধুরী জমি বণ্টনের বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।

সম্প্রতি লামিয়া চৌধুরী ফেসবুকে একটি পোস্ট লিখে নিজের মনোভাব প্রকাশ করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, তাঁর মা দিতি এবং বাবা সোহেল চৌধুরী দুই সন্তানকে (ভাই এবং তাঁকে) কখনোই কোনো বৈষম্য করতে দেননি। সম্প্রতি ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, “এটাই তো স্বাভাবিক হওয়া উচিত। আমার আর আমার ভাইয়ের মধ্যেও সব সমান সমান। আমাদের বাবা-মা এটাই চেয়েছেন। আর আমাদের এভাবেই বড় করা হয়েছে।”
লামিয়া আরও জানান, তবে বাস্তবতা ভিন্ন। তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত আইন আমাদের মনে করিয়ে দেয় আমরা সমান নই। আর শুধু শুধু সবকিছু জটিল করে আমাদের সময় নষ্ট করে। বাড়তি সময় ও কাগজপত্র নষ্ট হয়। যেখানে মা স্পষ্ট বলে গেছেন যে আমরা সমান। আর এগুলো আমিই দেশে থেকে দেখভাল করি। অথচ আমারই এরকম শুনতে হয় যে আমার মূল্যায়ন অর্ধেক। এসব ঠিক না।”
তিনি ইসলামী ন্যায্যতার কথা উল্লেখ করে বলেন, “ইসলাম ন্যায্য ও ন্যায়সঙ্গত। এই আইনের পেছনে যৌক্তিক কারণ আছে। কিন্তু আগের সমাজ ও এখনকার সমাজ এক না। আগেকার দিনে নারীদের কম দেওয়া হতো কারণ বিবাহিতার ব্যয় স্বামী বহন করত। আর অবিবাহিতাদের খরচ ভাই বহন করত। এখন এরকম হয় না। মেয়েরা এখন ভাইদের ওপর নির্ভরশীল না। আমি অবিবাহিত বলে আমার অর্থনৈতিক দায়িত্ব আমার ভাইয়ের না। বরং এখন স্ত্রী/বোনেরা সংসারের খরচ ভাগ করে নেয়। তাহলে কেন এখনও এই বৈষম্য অব্যাহত?”
লামিয়া বলেন, “এ ধরনের আইনগুলো সংস্কার করা উচিত এবং অন্ততপক্ষে এমন পরিবারগুলোতে বাধ্যতামূলক করা উচিত নয় যারা এই বৈষম্যের একমত না।”
ফেসবুকে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করার পাশাপাশি, তিনি আরও বলেন, “বাবা-মা অনেক কষ্ট করে আমাদের সমান করে বড় করেছেন। ভাইও আমাকে সমানই ভাবে। শুধু আপনারা আমাকে ছোট করছেন।”
সম্প্রতি, এই অভিযোগগুলো এবং বিতর্কের জেরে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, যে সমাজে নারীরা এখন পুরুষদের সঙ্গে সমান অধিকারে অংশগ্রহণ করছে, সেখানে এখনও কেন জমি বণ্টন ও আইনগত বিষয়গুলোতে পুরুষদেরই প্রাধান্য দেওয়া হয়। অনেকের মতে, পুরনো সমাজ ব্যবস্থার প্রতিফলন এখনও আইন ও সামাজিক রীতিতে বজায় রয়েছে, যা বর্তমান যুগের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
পড়ুন:ভারতের ভিসা নিয়ে মন খারাপ পরীমণির
দেখুন:ভোট দিয়ে দেখুন পছন্দের সিনেমাটি |
ইম/