১৫/১১/২০২৫, ২১:০৮ অপরাহ্ণ
23 C
Dhaka
১৫/১১/২০২৫, ২১:০৮ অপরাহ্ণ
বিজ্ঞাপন

সরকারি খাল উদ্ধারে আবাসন প্রকল্পগুলোকে ৩ মাসের আল্টিমেটাম

প্রায় ৭ টির অধিক সরকারী খাল বালি দিয়ে ভরাট করায় টানা বৃষ্টিতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় জলাবদ্ধতা চরম আকার ধারন করেছে। সরকারি খাল দখলসহ সঠিক পানি নিষ্কাশনের অভাবে এ সংকট তৈরী হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, পূর্বাচল ইস্টউড সিটি নামে একটি আবাসন প্রকল্প সরকারি ৭ টি খাল দখল করে করে বালু ভরাট করে ফেলে। এতে স্থবির হয়ে হয়ে যায় ৭ গ্রামের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। পানিবন্দি হয়ে পড়ে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। এছাড়া প্রায় অর্ধশতাধিক নারী-পুরষ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়। সম্প্রতি জলাবদ্ধতা নিয়ে বেশকয়েকটি জাতীয় দৈনিক ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পরিবেশ অধিদপ্তর ও রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে পূর্বাচল ইষ্টউড সিটিতে অভিযান পরিচালনা করে। তারা আবাসন কোম্পনীর বিরুদ্ধে সরকারি খাল দখলের সত্যতা পেয়ে তাৎক্ষনিক কয়েকটি খাল দখল মুক্ত করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা পরিবেশ ছাড়পত্র সদর দপ্তরের পরিচালক মাসুদ ইকবাল মোহাম্মদ শামীম, নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এএইচএম রাশেদ, সহকারি কমিশনার ভূমি তাছবীর হোসেনসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা।
স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিত্বে সহকারী কমিশনার (ভুমি) তাছবীর হোসেন জানান, কাঞ্চন পৌরসভা, ভুলতা ও গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের হাটাবো টেকপাড়া, কালাদি, নলপাথর, নরাবো, কোশাব, আইতলা, ডুলুরদিয়া গ্রামে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের বসবাস। এসব গ্রামের কৃষি জমিতে পানি নিষ্কাশনের জন্য ছোট বড় সব মিলিয়ে প্রায় ৭ টি খাল রয়েছে। এসব খাল দিয়ে বৃষ্টির পানি শীতলক্ষ্যায় যেতো। বেশ কয়েক বছর ধরে ইষ্টউড সিটি নামের একটি আবাসন প্রকল্প পানি নিষ্কাশন সরকারী খাল গুলো ভরাট করে দখলে নিয়ে গেছে। এতে করে বৃষ্টি হলেই পানি আটকে গিয়ে জলাবন্ধতার সৃষ্টি হয়ে থাকে এলাকা গুলো। বিশেষ করে, হান্ডি মার্কেট হতে ডেওরি বিল পর্যন্ত খাল, মুকসুর বাড়ি থেকে মগার বাড়ি পর্যন্ত চিপা খাল, কালাদি থেকে ভুলতা বড় খাল, বাড়ৈপাড় থেকে ডুলুরদিয়া হয়ে নলপাথর খাল, ইকবালেরটেক থেকে নরাব খাল এবং নরাব থেকে নলপাথর পানি নিষ্কাশন খালটি বালু ভরাট করে বন্ধ করে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। ওইসব এলাকায় বেশ কয়েকটি পাঁকা রাস্তা ডুবে গেছে। ময়লা ও আবর্জনাযুক্ত এসব পানিতে শিশু, বৃদ্ধ থেকে শুরু করে নারী-পুরুষরা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। এসব গ্রামের মানুষ এ সমস্যায় ভুগছেন প্রায় ৫ বছর ধরে। শত শত গ্রামবাসী সরকারী খাল ভরাট, অবৈধ ভাবে মানুষের বাড়িঘরের অনুমোদনের প্রতিবাদে ইষ্টউড সিটির বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করেছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর পূর্বাচল ইষ্টউড সিটিতে অভিযান পরিচালনা করে খাল ভরাটের সত্যতা পান। এসময় প্রশাসন কয়েকটি খাল ভেকু দিয়ে দখলমুক্ত করে। বাকী খাল গুলো দখল মুক্ত করতে ইষ্টউড সিটিকে তিন মাস সময় বেধে দেওয়া হয়। এছাড়া ১৪৮ একর জমির অনুমোদন নিয়ে ৩’শ একর জমিতে বালু ভরাট করে ইষ্টউড আবাসন কোম্পানী। এদিকে, অভিযান পরিচালনা করার সময় আবাসন কোম্পানীর দালাল আব্দুল হাইসহ কয়েকজন বাধা প্রদান করলে এলাকাবাসী তাদের লাঞ্চিত করে।

ইষ্টউড আবাসন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামাল উদ্দিন বলেন, আমাকে ৩ মাসের সময় দেয়া হয়েছে, সে সময়ের আগেই সরকারী খাল খনন করে দিবো। এছাড়া নিয়মকানুন মেনে সকল প্রকার কার্যক্রম চালাবো।

ঢাকা পরিবেশ ছাড়পত্র সদর দপ্তরের পরিচালক মাসুদ ইকবাল শামীম বলেন, ইষ্টউড আবাসন কোম্পানীতে অভিযান পরিচালনা করে সরকারি খাল ভরাটের সত্যতা পাই। কয়েকটি খাল ভেকু দিয়ে খনন করে দখলমুক্ত কার্যকক্রম শুরু করা হয়। কোম্পানীকে তিনমাসের সময় দেওয়া হয়েছে দখলকৃত সবগুলো খাল খনন করে দিতে।

পড়ুন: এক ইলিশ বিক্রি হলো ৫ হাজার ৬০০ টাকা

দেখুন: সীমান্তে টানা ৮ম রাতেও ভারত-পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গো/লা/গু/লি |

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

বিশেষ প্রতিবেদন