২১/০৫/২০২৫, ৪:৫৩ পূর্বাহ্ণ
25 C
Dhaka
২১/০৫/২০২৫, ৪:৫৩ পূর্বাহ্ণ

সরকারের ভিতরে-বাইরে ফ্যাসিবাদী দোসর আছে তাদের বিচার করতে হবে : রফিকুল ইসলাম খান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল ও বগুড়া অঞ্চল পরিচালক মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, সরকারের ভিতরে বাইরে ফ্যাসিবাদী দোসর আছে তাদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখী করতে হবে।এই ফ্যাসীবাদী শাসনামলে ২৬ লক্ষ কোটির অধিক টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে, পাচারকৃত টাকা ফেরত আনতে হবে এবং এর সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে হবে।
 
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। একটি ফ্রি ফেয়ার ক্রেডিবল নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে আগে স্থানীয় নির্বাচন পরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। আপনারা জানেন, সংবিধানে কেউয়ারটেকার সরকার বিধান সংযোজিত ছিল ফ্যাসিবাদের দোসর শেখ হাসিনা কোর্টকে প্রভাবিত করে, বিচারপতি খায়রুল হককে প্রভাবিত করে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে কোর্টের মাধ্যমে বাতিল করে বাংলাদেশের ভোটাধিকারের বিধানকে হরন করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। এবার সুযোগ এসেছে আবারো বাংলাদেশের সংবিধানে কেয়ারটেকার সরকার বিধান সংযোজিত হবে।


তিনি আরও বলেন, এদেশের জনগন যদি জামায়াতকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেয় তাহলে মুসলমান নাগরিকদের মতো অমুসলিমরাও সুবিধা পাবে। অমুসলিমরাও ধর্মীয় সুযোগ সুবিধা পাবে। অমুসলিম নারীরাও সুযোগসুবিধা পাবে। নারীরা কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সবখানে পড়ালেখা করতে পারবে।

শনিবার দুপুরে জয়পুরহাট পৌর কমিউনিটি সেন্টারে জেলা জামায়াতের শিক্ষা শিবিরে জেলা জামায়াতের আমীর ফজলুর রহমান সাইদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

এসময় জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি গোলাম কিবরিয়া মন্ডল এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চাপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, বগুড়া অঞ্চল টীম সদস্য অধ্যাপক আব্দুর রহিম, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, জয়পুরহাট জেলা শাখার সাবেক আমীর মাওলানা আতাউর রহমান, জেলা জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি হাসিবুল আলম লিটন, রাশেদুল ইসলাম সবুজ প্রমুখ।

পড়ুন : জয়পুরহাটে মসজিদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও সভাপতিকে অবমাননা করার প্রতিবাদে মানববন্ধন

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন