নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হওয়া নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস এখন দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার অপেক্ষায়। দেশের প্রতিকুল পরিস্থিতিতে সামনের দিনগুলি তার জন্য কতটা চ্যালেঞ্জের? অনেকেই মনে করছেন, অস্থিতিশীল এই সময়ে বাংলাদেশকে নতুন করে গড়তে অনেক কাঠ-খড় পোড়াতে হবে ড. ইউনুসকে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ড. ইউনূস। প্যারিস থেকে ইতিমধ্যে দেশে ফিরেছেন। এর আগে বিদেশ থেকে দেশে ফিরে আদালতে হাজিরার প্রস্তুতি নিতে হতো। তবে, এবার হাজিরা নয়, তিনি দেশের প্রতিকূল এক পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান।
আওয়ামী লীগ সরকারের টানা প্রায় ১৬ বছরের শাসনকালে সরকারের শীর্ষপর্যায় থেকে নানা বিষয়ে অপমান, অপদস্থ ও যন্ত্রণা সইতে হয়েছে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসকে। হয়রানি আর হতাশায় পেয়েছেন তিক্ত অভিজ্ঞতা।
গত ৫ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার হওয়ার কথা ছিল ঢাকার একটি আদালতে। একটি দুর্নীতি মামলায় তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারত। তবে মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে ঘুরে গেলো তার ভাগ্যের চাকা। বিচারের মুখোমুখি হওয়ার পরিবর্তে হলেন বাংলাদেশের সেনা-সমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান।
অনেকেই মনে করছেন, অস্থিতিশীল এই সময়ে বাংলাদেশকে নতুন করে গড়তে অনেক কাঠ-খড় পোড়াতে হবে ড. ইউনুসকে। বিশ্লেষকদের মতে ড. ইউনূসের পরবর্তী কাজ হবে বাংলাদেশের রাজনীতির পুনর্গঠন করা। আর এ জন্য শুধু দ্রুত নতুন নির্বাচনের আয়োজনই যথেষ্ট নয়। তাকে আরও বেশি কিছু করতে হবে। দেশের আদালত ও অন্যান্য গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংস্কার করতে হবে।
নতুন সরকার মানুষকে রক্ষা করবে, মানুষের আস্থাভাজন হবে। এমনটাই প্রত্যাশা দেশের নতুন এই কান্ডারীর।