28.4 C
Dhaka
সোমবার, এপ্রিল ২১, ২০২৫

আইসিইউ থেকে জেনারেল বেডে নেওয়া হয়েছে সাইফকে

দুষ্কৃতীর আক্রমণে ক্ষতবিক্ষত সাইফ আলি খান। ছ’বার ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছে তাঁকে। রক্তাক্ত, অচৈতন্য অভিনেতাকে তড়িঘড়ি মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করান ছেলে ইব্রাহিম আলি খান। চিকিৎসকেরা দ্রুত অস্ত্রোপচার করেন তাঁর। পরে সংবাদমাধ্যমকে জানান, অস্ত্রোপচার সফল। জ্ঞান ফিরেছে অভিনেতার। আপাতত এক সপ্তাহ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধান ছাড়া হাঁটাচলা করতে পারবেন না তিনি। তবে উদ্বেগের কিছু নেই। তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। চিকিৎসকেরা তাঁকে কড়া পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।

পাশাপাশি, আইসিইউ থেকে শুক্রবার সকালে তাঁকে জেনারেল বেডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। অভিনেতাকে হাঁটিয়েওছেন চিকিৎসকেরা। পরিবারের সদস্য এবং খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছাড়া অভিনেতার কাছে আর কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। চিকিৎসকদের মতে, সব ঠিক থাকলে শুক্রবার হাসপাতাল থেকে সাইফ ছাড়া পেতেও পারেন। সবটাই নির্ভর করছে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির উপর।

অভিনেতার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন লীলাবতী হাসপাতালের চিফ অপারেটিং অফিসার চিকিৎসক নীরজ উৎমানি। তিনি জানিয়েছেন, অভিনেতাকে এক দিনের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও বেশি সময় তাঁকে হাসপাতালে রাখা হতে পারে। ভর্তি করানোর সময় অভিনেতার শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। ছুরির গেঁথে যাওয়া অংশ শরীর থেকে বার করতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা সময় লেগেছিল। তাঁর মতে, একাধিক ছুরির আঘাত এবং তার ফলে রক্তপাত, সেই সঙ্গে অস্ত্রোপচারের ধকল— সব মিলিয়ে আপাতত টানা বিশ্রাম এবং চিকিৎসার প্রয়োজন সাইফের।

চিকিৎসকরে কথায়, ‘ভর্তি করানোর সময় অভিনেতার শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্তক্ষরণ হয়েছে। ছুরির গেঁথে যাওয়া অংশ শরীর থেকে বের করতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা সময় লেগেছে।

এদিকে সাইফ আলী খানের ওপর হামলাকারী সন্দেহে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশ। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, বান্দ্রা রেলওয়ে স্টেশনে অভিযান পরিচালনার করে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। 

ভারতীয় আরেক সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, ওই যুবক সম্পর্কে এখনও বিশেষ কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এই যুবকই যে সাইফের ওপর হামলা চালিয়েছিলেন, তাও এখনও নিশ্চিত নয়। 

পরুন:বাড়িতে ঢুকে সাইফ আলী খানকে ছুরিকাঘাত

দেখুন:আবারও কি মা হচ্ছেন কারিনা কাপুর? 

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন