সাগরপাড়ের সাম্পানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রদর্শন হয়েছে। বিশ্বভ্রমণের অংশ হিসেবে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে প্রদর্শিত হয়েছে আইসিসির চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। এক নজর ট্রফিটি দেখতে ক্রীড়া প্রেমিদের উপচে পড়া ভীড় ছিলো সকাল থেকে। এ উপলক্ষে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকতটিতে। আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবে এটি বাংলাদেশে।
ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক বৈরিতায় এখনও ঝুলে আছে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভাগ্য। সূচি কিংবা ভেন্যুর কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। তবে এই অনিশ্চয়তার মধ্যেই আইসিসি শুরু করেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শিরোপার বিশ্ব ভ্রমণ। এর অংশ হিসেবে গেলো সোমবার বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা।

মঙ্গলবার ট্রফিটি এসে পৌছায় কক্সবাজারে, সন্ধ্যায় রাখা হয় বিজিবির সীমান্ত সম্মেলেন কেন্দ্র ঊর্মিতে। আজ সকাল থেকে বিশ্বের দীর্ঘতম সমদ্রসৈকতে লাবণী পয়েন্টে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিটি সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।
ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলার জন্য সকাল থেকেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকে দর্শকরা। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দেখে ও ছবি তুলতে পেরে খুবই অনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত তারা।
ট্রফির প্রদর্শনী উপলক্ষে পুরো কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে ঢেকে দেয়া হয় নিরাপত্তার চাদরে। র্যাব, পুলিশের পাশাপাশি নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক টিম।

বিসিবি বলছে মূল আইসিসি ম্যানস ট্রফিটি টুর্ণামেন্টে অংশগ্রহণকারী দেশ সমূহে প্রদর্শনের অংশ হিসেবে ৯ ডিসেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকবে।
এরপর বৃহস্পতিবার রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে রাখা হবে প্রদর্শনীর জন্য। শুক্রবার ট্রফি যাবে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। উন্মুক্ত থাকবে জাতীয় নারী ও পুরুষ দলের ক্রিকেটার, সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটার, সংগঠক এবং সংবাদকর্মীদের জন্য। বাংলাদেশ সফর শেষে ট্রফি চলে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকায়।
এনএ/