32 C
Dhaka
রবিবার, মার্চ ১৬, ২০২৫

সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় ১১৭ বার বাড়ল

২০১২ সালে খুন হওয়া সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় ফের বাড়ানো হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম তদন্ত প্রতিবেদনের জমাদানের সময় ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর আদেশ দিয়েছেন। এ নিয়ে ১১৭ বার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বাড়ানো হলো।

গতকাল রোববার, পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এই সময় বাড়ানো হয়।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাগর সরওয়ার এবং মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় খুন হন। ঘটনার সময় তাদের একমাত্র ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ বাসায় ছিল।

পরদিন রুনির ভাই নওশের আলী রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ২০১৩ সালে র‍্যাব মামলাটি তদন্ত শুরু করে, কিন্তু তদন্ত কার্যক্রমে কোনো বড় সাফল্য আসেনি। ১২ বছর ধরে এই হত্যা মামলার কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি, যা সাগর-রুনির পরিবারসহ পুরো জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মামলার তদন্ত গত বছর নভেম্বর মাসে পিবিআই-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়। ২০২৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর পিবিআইকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য সময় দেওয়া হয়েছিল, তবে তারা এ সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হয়। গত ৮ জানুয়ারি, আদালত পিবিআইকে সাবেক মেজর জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসান এবং পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মশিউর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেয়।

হাইকোর্ট ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখে র‍্যাবের তদন্তে ব্যর্থতার কারণে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং তদন্ত পদ্ধতির সংস্কারে টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেয়। আদালত জানায় যে, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের মামলা শুধুমাত্র তাদের পরিবারই নয়, বরং পুরো জাতির জন্যও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। দীর্ঘ সময়েও তদন্ত সম্পন্ন না হওয়ায় জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার তদন্ত র‍্যাব থেকে সরিয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সে হস্তান্তর করা হয়, যাতে বিভিন্ন সংস্থার অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা কাজ করবেন। এই টাস্কফোর্সকে ছয় মাসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি এই হত্যাকাণ্ডটি দেশের মিডিয়া জগতে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করে। সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার, যিনি মাছরাঙা টিভির বার্তা সম্পাদক ছিলেন, এবং মেহেরুন রুনি, যিনি এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ছিলেন, তাদের হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতা পুরো জাতির মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করেছে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে, নতুন তদন্তের জন্য টাস্কফোর্স গঠন এবং নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কার্যক্রম চলছে।

পড়ুনঃ কবে উন্মোচিত হবে সাগর-রুনি হ*ত্যার রহস্য?

দেখুনঃ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চাপে সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত বন্ধ ছিল

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন