জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার রাজনীতি থেকে সাবালক ও বয়োবৃদ্ধদের অবসরের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সময়ের বাস্তবতা অনুধাবন করতে না পারা প্রবীণদের উচিত রাজনীতির ভার তরুণ প্রজন্মের হাতে তুলে দেওয়া।
সোমবার (৯ জুন) রাতে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ভিরিন্দা মন্দির পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে তিনি চরসিন্দুর বাজারে গণসংযোগে অংশ নেন।
সারোয়ার তুষারকে প্রশ্ন করা হয়, অনেকেই এনসিপিকে ‘নাতিপুতি’ বা ‘নাবালকদের দল’ বলে অভিহিত করছেন। জবাবে তিনি বলেন, “আপনারা যারা নিজেদের সাবালক দাবি করেন, তারা তো কিছু করতে পারেননি। শেখ হাসিনাকে আপনারা সরাতে পারেননি। বরং যাদের আপনারা নাবালক বলছেন, তারাই আজ জনগণের শক্তিতে শেখ হাসিনার শাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। আমাদের যদি সত্যিই নাবালক মনে করেন, তবে আমাদের নিয়ে এত মাথাব্যথা কেন? বাস্তবতা হলো, আমরা তরুণ, আমাদের যুক্তি ও জনপ্রিয়তাই তাদের ভয় পাইয়ে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই সময়ে যাঁরা রাজনীতির ধারা ও জনমানসের পরিবর্তন বুঝতে অক্ষম, তাঁদের উচিত রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়া। সময়ের দাবি অনুযায়ী তরুণ প্রজন্মই এই দায়িত্ব পালনে উপযুক্ত।
জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে সারোয়ার তুষার বলেন, “নির্বাচনের সময় ও তারিখ নির্ধারণের দায়িত্ব প্রধান উপদেষ্টার। তিনি পূর্বেই ঘোষণা দিয়েছেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। সেই অনুযায়ী এপ্রিলের মধ্যেই নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করেছেন। এখন কেউ যদি এতে খুশি না হন, তাহলে সেটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়, কারণ তিনিই নির্বাচনের বৈধ কর্তৃপক্ষ।”
তিনি আরও দাবি করেন,
“মানুষ এই সময় ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় না। কেউ সন্তুষ্ট না হলে গণভোটের মাধ্যমে জনমত যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।”
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন, জেলা সংগঠক আওলাদ হোসেন জনি, ওমর ফারুক খান, পলাশ উপজেলা প্রতিনিধি সাইদুল ইসলাম রাকিব, জনি ভুইয়া, যুব শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক ইমতিয়াজ খান বিলাল, ছাত্রনেতা তারেক খন্দকার প্রমুখ।
পড়ুন: রাতে ঘুমুতে পারিনি, মনে হয়েছে পরীক্ষার রেজাল্ট দেবে: বাঁধন
দেখুন: স্কুল ছাত্রের রোবট আবিষ্কার
ইম/