জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিশ্ব কবিতা কন্ঠ পরিষদের এক সভায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধী বলায় পঞ্চগড়ে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী এবং আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে পঞ্চগড় আমলি আদালত-১ এ মামলা দায়ের হয়েছে। একই সঙ্গে সেই বক্তব্যের সংবাদ প্রচারের দায়ে দৈনিক করতোয়ার সম্পাদক মোজাম্মেল হককে দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় চিফ জুডিশিয়ারি ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে মামলার বিষয়টি জানান মামলার বাদী পক্ষের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আদম সুফি।
রোববার বিকেলে বাদী হয়ে মামলাটি করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) পঞ্চগড়ের সাধারণ সম্পাদক ইউনুস শেখ।
জানা গেছে, ২০১০ সালের ২১মে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব কবিতা কণ্ঠ পরিষদের এক সভায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রয়াত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধী বলায় ১৪ বছর পর এই মামলাটি দায়ের করেছে বাদী ইউনুস শেখ।
সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আদম সুফি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে রাজাকার এবং যুদ্ধাপরাধী বলেন সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। তিনি একজন সেক্টর কমান্ডার এবং স্বাধীনতার ঘোষক ছিলেন। উনার সম্পর্কে এমন একটা মন্তব্য একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে মামলা বাদী ইউনূস শেখ আজও ভুলতে পারেননি। তখনই তিনি আইনের আশ্রয় নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে পারেননি। এজন্য এখন তিনি মামলাটি দায়ের করলেন। এদিকে খবরটি করতোয়া পত্রিকায় ছাপা হওয়ায় পত্রিকার সম্পাদককে মামলার আসামি করা হয়। বিজ্ঞ আদলত তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে আগামী ৩০ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড়ের জাতীয়তাবাদী অ্যাডভোকেট ফোরামের আইনজীবীসহ পঞ্চগড় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু, সদর থানার সভাপতি আনোয়ার হোসেন, বোদা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সফিউল্লা সফি প্রমুখ।