17 C
Dhaka
শুক্রবার, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪

সাবেক এমপির বেয়াই বাড়িতে যা পেলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

রাজধানীর উত্তরার এক বাসায় যৌথ অভিযান চালিয়ে ১ কোটি ১৬ লাখ টাকা এবং বড় অঙ্কের বিদেশি মুদ্রাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। বাসাটি ঢাকা-১৮ আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসানের ছেলে আবির হাসান তামিমের শ্বশুরবাড়ি বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযানে দুটি প্রাইভেটকারও জব্দ করা হয়।

সোমবার ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শাহজাদা খান সাজ্জাদ, মো. তৌজিদুল ইসলাম ও মো.সাইফুল ইসলাম।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রোববার সেনাবাহিনী ও উত্তরা পশ্চিম থানার একটি যৌথ টিম ওই বাসায় স্থানীয় সাক্ষীসহ প্রবেশ করে। সেখানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা ও বৈদেশিক মুদ্রাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামিদের বরাতে এ কর্মকর্তা জানান, জব্দ করা টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা ও গাড়ি দুটি সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসান ও তার পরিবারের সদস্যদের। জব্দ করা বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটগুলো ব্যবহার করতেন পলাতক সাবেক সংসদ সদস্য হাবিব হাসান ও তার ছেলে পলাতক আবির হাসান তামিম।

অভিযানে এক কোটি ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা, ৬৫টি ১০০ মার্কিন ডলারের নোট, চারটি ২০ মার্কিন ডলারের নোট, একটি পাঁচ মার্কিন ডলারের নোট, একটি এক মার্কিন ডলারের নোট, ৪১ টি এক হাজার থাই বাথ নোট, ১১টি ১০০ থাই বাথ নোট, দুটি ৫০০ থাই বাথ নোট, ২৮টি ২০ থাই বাথ নোট, তিনটি ৫০ থাই বাথ নোট, ২০টি ৫০০ দিরহামের নোট, একটি ১০০ দিরহামের নোট, একটি ২০ দিরহামের নোট, তিনটি ১০ দিরহামের নোট, দুটি পাঁচ দিরহামের নোট, পাঁচটি ১০০ কানাডিয়ান ডলারের নোট, দুটি ১০ সিঙ্গাপুর ডলারের নোট, একটি দুই সিঙ্গাপুর ডলারের নোট, একটি ১০০ রিয়ালের নোট, দুটি ৫০ রিয়ালের নোট, দুটি ১০ রিয়ালের নোট, তিনটি পাঁচ রিয়ালের নোট, একটি এক রিয়ালের নোট, একটি দুই হাজার রুপির নোট, ৬০টি ৫০০ রুপির নোট, একটি ২০০ রুপির নোট, পাঁচটি ১০০ রুপির নোট, পাঁচটি ৫০ রুপির নোট, চারটি ২০ রুপির নোট, ছয়টি ১০ রুপির নোট, তিনটি নেভি ব্লু রঙের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট যাদের সামনে ও পেছনে উভয় পাশে ইংরেজিতে পুলিশ লেখা এবং দুটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন