বন্যায় বিপর্যস্ত ১১ জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনো পানিবন্দি ১২ লাখ পরিবার। কিছু এলাকায় পানি কমলেও, এখনো রয়ে গেছে জলাবদ্ধতা। দুর্গম এলাকায় ত্রাণতৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে বন্যাকবলিত ১১ জেলার ৭৪ উপজেলার ৫৫০ ইউনিয়ন ও পৌরসভায় এখনো পানিবন্দি ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৮টি পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৫৭ লাখ এক হাজার ২০৪ জন। মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
কুমিল্লায় নদীর পানি কিছুটা কমলেও ধীরগতিতে নামছে লোকালয়ের পানি। তবে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন। ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। চৌদ্দগ্রাম ও নাঙ্গলকোটে ত্রাণ সংকটে বানভাসিরা।
ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পাড়ঘেঁষা গ্রামগুলো এখনো ডুবে আছে। সুপেয় পানি ও খাবারসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা না পাওয়ার কথা বলছেন স্থানীয়রা।
নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বৃষ্টি হওয়ায় এবং বাধ ভেঙ্গে যাওয়ায় নোয়াখালীতে পানি বেড়েছে। লক্ষ্মীপুরে জেলার সদর রায়পুর রামগঞ্জ কমলনগর রামগতি ও রায়পুরে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় সাত লাখ মানুষ। খাদ্য ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সংকটে সেখানকার মানুষ।
এদিকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মৌলভীবাজার, সুনামঞ্জ ও হবিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। লোকালয় থেকে নামছে পানি। দৃশ্যমান হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতি।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের ত্রিপুরায় ভারি বৃষ্টিপাত না হওয়ায় সেখান থেকে আসা ঢলের পানি কমেছে। ফলে এ অঞ্চলে বন্যার পানি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।