সার্বিয়ার পার্লামেন্ট অধিবেশন চলাকালীন স্মোক গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। যার ফলে সরকারদলীয় এক আইনপ্রণেতা, জাসমিনা ওব্রাদোভিচ, স্ট্রোক করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিরোধীদলীয় আইনপ্রণেতারা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানাতে এমন হামলা চালান। খবর রয়টার্স

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, অধিবেশনের সময় যখন ক্ষমতাসীন দল সার্বিয়ান প্রগ্রেসিভ পার্টির (এসএনএস) নেতৃত্বাধীন জোট সরকার তাদের এজেন্ডা অনুমোদন করেছিল, কিছু বিরোধী রাজনীতিবিদ তাদের আসন ছেড়ে স্পিকারের দিকে দৌড়ে গিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় কয়েকজন স্মোক গ্রেনেড এবং কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে মারেন, যার ফলে পার্লামেন্টের ভেতরে কালো এবং গোলাপী ধোঁয়া দেখা যায়।
সার্বিয়ায় বিগত চার মাস ধরে চলমান ছাত্র আন্দোলন এখন আরও বৃহৎ বিক্ষোভে রূপ নিয়েছে, যেখানে শিক্ষকদের, কৃষকদের এবং অন্যান্য শ্রেণির জনগণও যুক্ত হয়েছেন। এই বিক্ষোভ প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার ভুচিচের দীর্ঘ এক দশকের শাসনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সার্বিয়ায় ১৯৯০ সালে বহুদলীয় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরুর পর থেকেই পার্লামেন্টে মারামারি ও পানি ছোঁড়ার মতো ঘটনা বহুবার ঘটেছে।

সর্বশেষ এই ঘটনায় পার্লামেন্টের স্পিকার আনা ব্রনাবিচসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, দুই আইনপ্রণেতা আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে এসএনএস পার্টির জাসমিনা ওব্রাদোভিচ স্ট্রোক করে গুরুতর অবস্থায় আছেন। তবে, এই ঘটনার পরও পার্লামেন্টের কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এনএ/