সালমান এফ রহমান, এস আলম আর নজরুল ইসলাম মজুমদার। এই তিনের দাপটে কাবু দেশের ব্যাংক খাত। ব্যাংক দখল, টাকা পাচার, ঋণ নিয়ে লোপাট করা। সবই ছিলো তাদের বাঁ-হাতের খেল। ছিলেন সরকারি তহবিলের যোগানদাতাও। বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যাংকিং খাত যারা কব্জা করেছিলেন, তাদের মধ্যে এই তিন কারিগরই সবচেয়ে প্রতাপশালী।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর, বেসরকারি খাতের আইএফআইসি ব্যাংকের প্রায় দেড় হাজার কর্মী আন্দোলনে নামেন। অভিযোগ, অন্যায় প্রক্রিয়ায় চাকরিচ্যুত তারা। নেপথ্যে, চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান।
জনতা ব্যাংকের অবনতির কারিগরও, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান। তার কোম্পানির ঋণ, এই ব্যাংকে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। ব্যাংকিং খাতে ওপেন সিক্রেট, সরকারি ব্যাংকটি চলতো সালমানেরই ইশারায়।
আর্থিক খাত জিম্মিকারী আরেকজন সাইফুল ইসলাম আলম মাসুদ। চট্টগ্রামের এই ব্যবসায়ী পরিচিত, এস আলম নামে। এই নামের সঙ্গে ব্যাংক দখলকারী শব্দ দুটি যেনো লেপ্টে আছে। অর্থ পাচারকারীর তালিকাতেও তিনি শীর্ষে। তার ক্ষুধা মেটাতে ইসলামীসহ ৬টি ব্যাংক যেন ফাঁকা হয়ে গেছে। কেবল ইসলামী ব্যাংক থেকেই নামে বেনামে নিয়েছেন ৫০ হাজার কোটি টাকা।
নজরুল ইসলাম মজমুদার, এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে, ক্ষমতার অপব্যবহারের বিস্তর নালিশ রয়েছে। বলা হয়, পুরো ব্যাংক খাতেই বিস্তৃত তার কালো ছায়া। সরকারের নানা তহবিল আর আয়োজনে ব্যাংকিং খাত থেকে তহবিল জোগাড় করা ছিলো, তার গুরুদায়িত্ব।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সবই হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চোখের সামনে। সংস্থাটিও যেন ব্যাংকিং খাতের দুষ্টচক্রের স্বার্থ দেখেছে বেশি।