১৬/০৫/২০২৫, ২৩:৩৫ অপরাহ্ণ
27.5 C
Dhaka
১৬/০৫/২০২৫, ২৩:৩৫ অপরাহ্ণ

শোক ও শ্রদ্ধায় সালাউদ্দিন লঞ্চ ডুবি স্মরণ করল রাঙ্গাবালীর বাসিন্দারা

গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় সালাউদ্দিন-২ ডুবির স্মরণ করেছে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর বাসিন্দারা। ২০০২ সালের ৩ মে মেঘনার ষাটনলে ডুবে যায় ঢাকা-রাঙ্গাবালী নৌরুটের যাত্রীবোঝাই লঞ্চ ‘সালাউদ্দিন-২’। এঘটনায় প্রায় আড়াইশ মানুষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর ১৫৪ জনের মরদেহই বেওয়ারিশ হিসাবে দাফন করা হয় রাঙ্গাবালীর চরে। এলাকার লোকজন জানান, দুর্ঘটনার স্মৃতি চিহ্ন সেই গণকবরটিও পড়ে আছে অবহেলায়। গণকবরটির সুরক্ষা দরকার।


২০০২ সালের ৩ মে, ঢাকার সদরঘাট থেকে রাঙ্গাবালীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয় যাত্রীবাহী লঞ্চ সালাউদ্দিন-২। যাত্রাপথে মেঘনার ষাটনলে ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া লঞ্চের বেশিরভাগ যাত্রী ছিল রাঙ্গাবালী, গলাচিপা, দশমিনা ও বাউফলসহ পটুয়াখালী জেলার। তিন দিন ধরে চলে উদ্ধার অভিযান।


এলাকার লোকজন জানান, উদ্ধার হওয়া ১৫৪ জনের মরদেহ রাঙ্গাবালীর খালগোড়া ঘাটে আনা হয়। স্বজনরা শনাক্ত করতে না পারায় বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফন করা হয় দাড়ছেঁড়া নদীর পাড়ে।
এলাকার লোকজন আরও জানান, সেই গণকবরটি ইতিহাস হয়ে হারিয়ে যাচ্ছে নদীগর্ভে। স্বজনের টানে অনেকেই আসেন এখানে। কবর জিয়ারত করতে। তারা নিশ্চিত না হলেও মনে করেন এখানেই চির নিদ্রায় ঘুমিয়ে আছেন প্রিয় স্বজন। তাই গণকবরটি সংরক্ষণ করা দরকার।


সেদিন যারা বেঁচে ফেরেন তারাও অনেকে সেদিন স্বজন হারা হয়েছিলেন। বছরের এই দিনে তারাও আসেন, দাড়ছেঁড়া নদীর পাড়ে। তারা জানান, আকারে ছোট লঞ্চটিতে তিনগুণের বেশি যাত্রী বোঝাই করা হয়েছিল।
ওই নৌদুর্ঘটনার পর নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের করা একটি তদন্ত কমিটি নকশামতো লঞ্চ নির্মাণ না করায় মালিককে এবং অতিরিক্ত যাত্রী বহনের জন্য মাস্টারকে অভিযুক্ত করে। এতে ওই লঞ্চের মালিককে জরিমানা এবং মাস্টারকে চাকরিচ্যুত করা হলেও সন্তোষজনক শাস্তি পায়নি। এ ঘটনাটি অব্যবস্থা, অবহেলা নাকি শুধুই দুর্ঘটনা—জবাব পায়নি কেউই।

পড়ুন: ১২৯ বছর বয়সে মারা গেলেন স্বামী শিবানন্দ

দেখুন: তাহলে কি পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকছেন ড. ইউনূস? 

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন