আমদানির আড়ালে ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য এনে সরকারের কয়েক কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রামের এক সিএন্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের নাম মো. নুর নবী ভূইয়া। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগও দেয়া হয়েছে।
দুদকে দেয়া ওই অভিযোগ থেকে জানা যায়, নুর নবী দুটি সিএন্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। এগুলোর মাধ্যমে কৃষি রাসায়নিক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাথর্তন ইমব্রোস কোম্পানি লিমিটেড ও এ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রির জন্য দীর্ঘদিন ধরে রাসায়নিক আমদানি করছেন। তবে এর আড়ালে ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য এনে সরকারের কয়েক কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন তিনি। গড়েছেন শত কোটি টাকার সম্পদের পাহাড়।
অভিযোগ আছে, নুর নবী ভূঁইয়া অবৈধ টাকা দিয়ে ঝুট ব্যবসায়ও অর্থ লগ্নী করেছেন। বিলাসী জীবনযাপন করেন তিনি।চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের ধুম ইউনিয়নের শুক্কুর বারৈয়ারহাট মোবারকঘোনা এলাকায় গড়েছেন বিশাল অট্টালিকা। চট্টগ্রাম নগরীর দক্ষিণ খুলশী নাসিরাবাদ হাউসিং সোসাইটিতে ৭ কাঠার উপর বহুতল বাড়ি। খুলশী ১০ নম্বর সড়কে আছে ৭ কাঠা জায়গা। একই এলাকার ৯ নম্বর সড়কে ৬ কাঠার উপর বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। এছাড়াও একাধিক ব্যাংক একাউন্টে রয়েছে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ।
ইউনাইটেড কর্মাস লিমিটেড এবং মের্সাস এফ ডব্লিউ এক্সিম ট্রেডের স্বতাধিকারী মো. নুর নবী ভূইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে নাগরিক টিভির পক্ষ থেকে তার বক্তব্য নেয়ার জন্য ফোন দেয়া হয়। পরে যোগাযোগ করবেন জানিয়ে ফোন কেটে দেন তিনি।
পরে রেজাউল করিম স্বপন নামে এক ব্যক্তি এই প্রতিবেদককে চট্টগ্রামের স্থানীয় দৈনিক আজাদীর কলামিস্ট পরিচয় দিয়ে জানতে চান কোন অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিবেদক নুর নবী ভূইঁয়াকে কল দিয়েছেন প্রতিবেদক। পাল্টা চ্যালেঞ্জ করলে তিনি নিজেকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতির বন্ধু পরিচয় দিয়ে ফোন কেটে দেন।
এদিকে নুর নবী ভূইয়ার বক্তব্য নেয়ার জন্য ফের কল দিলে তার ফোন রিসিভ করে দূনীতি দমন কমিশন পাবলিক প্রসিকিউটর পরিচয় দেন এক ব্যক্তি। তিনি নুর নবীর ভূইয়ার বিষয়টি জানতে চান। এই প্রতিবেদক তার চেম্বারে আসার কথা জানালে তিনি চেম্বার থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন বলে জানান।